Advertisement

Tejas crash Dubai Air Show: 'শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত লড়াই…', তেজসকে বাঁচাতে যেভাবে জীবন দিলেন পাইলট নমাংশ

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন উইং কমান্ডার নমাংশ সিয়াল। বিমানের মুখ ঘুরিয়ে উপর দিকে করতে চেয়েছিলেন। সব ব্যর্থ হওয়ার পর ইজেক্ট বাটন চেপে বেরিয়ে আসারও চেষ্টা করেছিলেন।

তেজস যুদ্ধবিমানটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন পাইলট।তেজস যুদ্ধবিমানটি শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত বাঁচানোর চেষ্টা করেছিলেন পাইলট।
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 22 Nov 2025,
  • अपडेटेड 6:16 PM IST
  • শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন উইং কমান্ডার নমাংশ সিয়াল।
  • বিমানের মুখ ঘুরিয়ে উপর দিকে করতে চেয়েছিলেন।
  • সব ব্যর্থ হওয়ার পর ইজেক্ট বাটন চেপে বেরিয়ে আসারও চেষ্টা করেছিলেন।

শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন উইং কমান্ডার নমাংশ সিয়াল। বিমানের মুখ ঘুরিয়ে উপর দিকে করতে চেয়েছিলেন। সব ব্যর্থ হওয়ার পর ইজেক্ট বাটন চেপে বেরিয়ে আসারও চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে অনেকটাই দেরি হয়ে গিয়েছে। প্রবল বেগে আছড়ে পড়ে তেজস। দুবাই এয়ার শোতে মর্মান্তিকভাবে প্রাণ হারান প্রতিভাবান পাইলট। 

দুবাই এয়ার শো ২০২৫ এর শেষ দিনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। WL Tan’s Aviation Videos নামে একটি ইউটিউব চ্যানেলে এই দুর্ঘটনার ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। তেজস ঠিক কীভাবে আগুনের লেলিহান শিখায় পরিণত হল, তা এই ভিডিওটি থেকে স্পষ্ট।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, খুব কম উচ্চতায় ব্যারেল রোল করছিলেন পাইলট। এয়ার শোতে বিমানের ম্যানুভার করার ক্ষমতা দেখাতে এমনটা করা হয়। এরপর উপর দিকে উঠে ডিগবাজি খেয়ে নিচে নেমে আসছিল বিমানটি।


এক্ষেত্রে দুইভাবে বিমান নামানো যায়। প্রথমত হল, সাধারণ মাধ্যকর্ষণ শক্তির মতোই টানে 'ফ্রি ফল' করা। অর্থাৎ স্রেফ খসে পড়া! অন্যটি আরও ভয়ানক। সেটা হল, মাটির দিকে মুখ করে বিমান অ্যাক্সেলারেট করা। মানে, ধরুন আপনি কোনও উঁচু বিল্ডিংয়ের দেওয়াল দিয়ে, মাটির দিকে মুখ করে বাইক চালাচ্ছেন। তার উপর আবার বাইকটি অ্যাক্সেলারেটও করছেন।

এমন পরিস্থিতিতে মাধ্যকর্ষণ শক্তির চেয়েও প্রবল বেগে বিমান নিচে নামতে শুরু করে। এই সময় পুরোপুরি নেগেটিভ জি তে নামতে থাকে তেজস। এরপর সাধারণত পাইলট কিছুটা নেমেই বিমানের মাথা সোজা করে নিন। নিচের দিকে থ্রাস্টার মেরে ফের আকাশে উড়তে শুরু করেন। কিন্তু এক্ষেত্রে সেখানেই সমস্যা হয়েছে। হঠাৎ ভারসাম্য হারিয়ে বিমানটি নিচের দিকেই ঢলে পড়তে শুরু করে।


সেই সময় থ্রাস্টার চেপে বিমানটি তোলার চেষ্টাও করা হয়েছিল। সব শেষে পরিস্থিতি জটিল দেখে সম্ভবত ইজেক্ট বাটন চেপে বিমান থেকে বের হওয়ারও চেষ্টা করেছিলেন পাইলট। শেষ মুহূর্তে একটি ছোট প্যারাশুটের মতো কিছুও দেখা যাচ্ছে। কিন্তু মাটির খুব কাছাকাছি এসে যাওয়ায় প্যারাসুটটি আর ডিপ্লয় করা যায়নি। 

ইজেক্ট বাটন কী?
যুদ্ধবিমানে আপদকালীন পরিস্থিতিতে এই বাটন ব্যবহৃত হয়। এই বাটন চাপলেই বিমানের উপরের কভারটা খুলে যায়। এরপর পাইলটের সিটের তলায় থাকা থ্রাস্টার(রকেটের মতো) হুস করে জলে ওঠে। সিটসমেত হাওয়ায় উড়ে বেরিয়ে আসেন পাইলট(সিটবেল্ট পরা থাকে)। এরপর আপনা থেকেই সিটের সঙ্গে যুক্ত প্যারাস্যুট খুলে যায়। নিরাপদে মাটিতে নেমে আসেন পাইলট। 

Advertisement

বিশেষজ্ঞদের দাবি, নমাংশ প্রথমে বিমানটিকেই বাঁচানোর প্রাণপণ চেষ্টা করেন। যখন বুঝলেন যে তা আর সম্ভব নয়, তখনই ইজেক্টের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে।

তেজসের ১০ বছরের সার্ভিস লাইফে এই প্রথম কোনও পাইলটের মৃত্যু হল। এর আগে ২০২৪ সালের মার্চে জয়সলমেরে দুর্ঘটনা ঘটেছিল। তবে সেবার সঠিক সময়ে ইজেক্ট বাটন চেপে বেরিয়ে এসেছিলেন পাইলট।

উইং কমান্ডার নমাংশ সিয়াল?
বয়স: ৩৭ বছর
বাড়ি: হিমাচল প্রদেশের কাংড়া (নাগরোটা বাগওয়ান)
স্ত্রী: অবসরপ্রাপ্ত উইং কমান্ডার
মেয়ে: ৭ বছর বয়স

Read more!
Advertisement
Advertisement