রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) নেতৃত্বে কংগ্রেসের 'ভারত জোড়ো' (Bharat Jodo) নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহার (Shatrughan Sinha) মন্তব্য থেকে নিজেদের দূরত্বই বজায় রাখছে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)।
কংগ্রেসের ভারত জোড়ো যাত্রাকে 'বৈপ্লবিক' আখ্যা দিয়েছেন তৃণমূলের আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা। তাঁর কথায়, 'যুব সম্প্রদায়ের আইকন হিসেবে উঠে এসেছেন রাহুল গান্ধী। তাঁর ইমেজ এখন একেবারে বদলে গিয়েছে। অতীতে কিছু মানুষ রাহুল গান্ধীর ইমেজ নষ্ট করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তিনি দেশের একজন খুব সিরিয়াস লিডার হিসেবে উদিত হলেন। প্রধানমন্ত্রী হওয়ার যোগ্যতা রয়েছে রাহুল গান্ধীর। তাঁর পরিবারের সদস্যরা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দেশকে পরিষেবা দিয়েছেন। দেশের বৃদ্ধিতে অবদান রেখেছেন।'
শত্রুঘ্নের এই মন্তব্যে দৃশ্যতই অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ, রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রায় সামিল হয়নি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। রাহুল তাঁর যাত্রা শুরুর আগে তৃণমূলকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, কিন্তু তৃণমূলের তরফে কোনও সাড়া মেলেনি।
অন্যদিকে ২০২৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদের বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান হল, ভোটের আগে কোনও প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী ঘোষণা না করে, লোকসভা ভোটের পরে সব বিরোধী দলের সঙ্গে আলোচনা করেই প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হবে।
শত্রুঘ্ন সিনহার মন্তব্য থেকে দূরত্ব রেখে তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র শান্তনু সেন বলেন, 'কংগ্রেসের উচিত আগে নিজেদের দলকে জোড়া। বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে নিজেদের ঘাঁটিতে আগে জিততে হবে, তারপর কেন প্রধানমন্ত্রী হবেন, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ বিষয়ে তৃণমূলের অবস্থান খুব স্পষ্ট।'
তাঁর মতে, 'এটা তাঁর একান্তই ব্যক্তিগত মতামত, এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।' বিজেপি বিরোধিতায় ভারত জোড়ো যাত্রায় অংশ নেওয়ার জন্য তৃণমূলকেও সঙ্গে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু বাংলার শাসকদল তাতে গুরুত্ব দেয়নি।
ভারত জোড়ো যাত্রার যে সকল নেতা প্রশংসা করেছেন, তাঁদের মধ্যে অন্যতম শত্রুঘ্ন সিনহা। রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রা আগামী ২০ জানুয়ারি কাশ্মীর পৌঁছচ্ছে। সেখানেই পতাকা উত্তোলন করে যাত্রা সমাপ্তি ঘোষণা করবে কংগ্রেস।