Advertisement

ভারতে COVID-এর ২ নতুন ভ্যারিয়েন্ট, এবার কী কী উপসর্গ-কতটা ভয়ের?

নতুন করে বাড়ছে আতঙ্ক। এবার ভারতে দুই নয়া কোভিড ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলল। দুই ভ্যারিয়ান্টই ওমিক্রনের সাব ভ্যারিয়ান্ট। কীভাবে চিনবেন এই দুই ভ্যারিয়েন্ট শরীরে থাবা বসালে?

Aajtak Bangla
  • নয়াদিল্লি,
  • 26 May 2025,
  • अपडेटेड 12:23 PM IST
  • ভারতে ২ নয়া কোভিড ভ্যারিয়ান্টের হদিশ
  • মোট ৫ জন আক্রান্ত হয়েছেন নয়া ভ্যারিয়ান্টে
  • কী কী উপসর্গ এই দুই ভ্যারিয়ান্টের?

নতুন করে ভয় ধরাচ্ছে করোনাভাইরাস। ভারতে ইতিমধ্যেই থাবা বসিয়েছে করোনার দুই নয়া ভ্যারিয়েন্ট। জানা গিয়েছে, কোভিড-১৯ NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১ এবং LF.7 ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত ৪ জনের হদিশ পাওয়া গিয়েছে দেশে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ইন্ডিয়ান SARS-COV-2 জিনোমিক্স কসোর্টিয়াম সংগঠন। এই সংস্থা ভাইরাসের জিনগত মিউটেশন নিয়ে পরীক্ষা চালায়। 

স্বাস্থ্য মন্ত্রকের একটি সাম্প্রতিক বৈঠকে ICMR এবং অন্যন্য স্বাস্থ্য সংগঠনগুলির প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে ভারতে নতুন করে মাথাচাড়া দেওয়া কোভিড পরিস্থিতির পর্যালোচনা করা হয়েছে। 

কোন রাজ্যে কত করোনা আক্রান্ত?
দিল্লিতে নতুন করে একদিনে করোনায় আক্রান্ত ২৩। অন্ধ্রপ্রদেশের গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৪। তেলিঙ্গানাতে ১ জন। গত ২০ দিনে বেঙ্গালুরুতে ৯ মাসের শিশুর শরীরেও কোভিড থাবা বসিয়েছে। কেরলেই এক মাসে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছে গিয়েছে ২৭৩-এ। অ্যালার্ট করা হয়েছে মুম্বই, দিল্লি, চেন্নাইকে। বাংলাতেও করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ঊর্ধ্বমুখী। তবে সমস্ত রাজ্যেই আক্রান্তদের মধ্যে নয়া ভ্যারিয়েন্ট কতজনের শরীরে বাসা বেঁধেছে তা এখনও জানা যায়নি। 

নয়া ভ্যারিয়েন্ট কতটা উদ্বেগজনক? 
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা করোনার LF.7 এবং NB.1.8.1 সাব ভ্যারিয়ান্টের উপর কড়া নজর রেখেছে। তবে এই দুই ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে এখনই উদ্বেগের কোনও কারণ দেখছে না তারা। তবে LF.7 এবং NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্ট দু'টিই যে বর্তমানে চিন তথা এশিয়ার বেশ কিছু দেশে নতুন করে সংক্রমণ ছড়ানোর জন্য দায়ী, তা একপ্রকার নিশ্চিত। ভারতের SARS-COV-2 জিনোমিক্স কসোর্টিয়ামের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এপ্রিলে তামিলনাড়ুতে NB.1.8.1 ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ১ জনের সন্ধান মিলেছিল। মে মাসে গুজরাটে ৪ জনের শরীরে বাসা বেঁধেছে LF.7। তবে ভারতে এখনও পর্যন্ত নতুন করে কোভিড আকান্তদের বেশিরভাগের শরীরেই থাবা বসিয়েছে JN.1 ভ্যারিয়েন্ট। ভারতের নানা রাজ্যের ল্যাবে পরীক্ষিত কোভিড রোগীদের মধ্যে ৫৩ শতাংশের নমুনায় JN.1 ভ্যারিয়েন্টের হদিশ মিলেছে। পাশাপাশি BA.2 ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া গিয়েছে ২৬ শতাংশের নমুনায়। অন্যান্য ওমিক্রমের সাব ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত ২০ শতাংশ। 

Advertisement

NB.1.8.1 এবং LF.7-ও ওমিক্রনেরই সাব ভ্যারিয়েন্ট যারা ২০২২ পর্যন্ত সক্রিয় ছিল। NB.1.8.1 JN.1-এরই বংশধর। আবার LF.7 অন্য একটি ভ্যারিয়েন্টের সাব ভ্যারিয়ান্ট। ভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনের একাধিক মিউটেশনের ফলে এই সাব ভ্যারিয়েন্ট তৈরি হয়েছে। এটি মানুষের শরীরে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়েছে। ইমিউনিটি ধ্বংস করার ক্ষমতা রয়েছে এই ভ্যারিয়েন্টগুলির। এশিয়া, আমেরিকা, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়া সহ ২০টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই নয়া দুই সাব ভ্যারিয়েন্ট। 

এই দুই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণের ক্ষমতা অত্যধিক বেশি। তবে ওমিক্রনের তুলনায় এর প্রভাব কম না বেশি, তা এখনও জানা যায়নি। এমনকী এগুলি প্রাণঘাতী বলেও কোনও প্রমাণ মেলেনি। 

নয়া ভ্যারিয়েন্টের উপসর্গ কী কী?
NB.1.8.1 এবং NB.7-এ আক্রান্ত হলে সামান্য উপসর্গ দেখা যাচ্ছে। সর্দি, কাশি, হাল্কা জ্বর হচ্ছে। গলা ব্যথা, ক্লান্তি, শুকনো কাশি, পেশিতে ব্যথা, নাক বন্ধ, মাথা ব্যথা, গ্যাসের সমস্যা হলে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কোভিড টেস্ট করারনোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। ভাইরাসের বিরুদ্ধে কোভিড ভ্যাকসিন এখনও সুরক্ষা কবচ হিসেবেই রয়েছে। এই দুই নয়া ভ্যারিয়েন্টের মোকাবিলাতেও কোভিড ভ্যাকসিন অব্যর্থ। 


 

 

Read more!
Advertisement
Advertisement