রাজধানী দিল্লিতে এক ব্রিটিশ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয়, সাহায্য চাইতে গিয়ে হোটেলের লিফটে আরও এক ব্যক্তি তাঁকে শ্লীলতাহানি করেন বলেও অভিযোগ। ইতিমধ্যেই দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ এবং ব্রিটিশ হাইকমিশনকে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ-পশ্চিম দিল্লির মহিপালপুর এলাকার এক হোটেলে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ব্রিটিশ মহিলা সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গে পরিচিত হন। দীর্ঘদিন কথোপকথনের পর, তাঁর আমন্ত্রণে দিল্লিতে আসেন। এরপর ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে মহিপালপুরে একটি হোটেল রুম বুক করেন তিনি।
বিশ্বাস ভেঙে ধর্ষণ, এরপর লিফটে শ্লীলতাহানি
মঙ্গলবার অভিযুক্ত ব্যক্তি হোটেলে মহিলার সঙ্গে দেখা করতে যান। তখনই তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয় মহিলার। অভিযোগ, কিছুক্ষণ পরই অভিযুক্ত তাঁকে ধর্ষণ করে। মহিলাটি আতঙ্কিত হয়ে হোটেলের রিসেপশনে পৌঁছানোর চেষ্টা করেন এবং অ্যালার্ম বাজিয়ে সাহায্য চান। কিন্তু এখানেই তাঁর দুর্ভোগ শেষ হয়নি। অভিযোগ, রিসেপশনে পৌঁছানোর পথে, হোটেলের লিফটের ভিতরে আরেক ব্যক্তি তাঁকে শ্লীলতাহানি করে।
ওই মহিলা পরে পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দুই অভিযুক্তকেই গ্রেফতার করে। দিল্লি পুলিশের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, "মহিপালপুরের একটি হোটেলে ব্রিটিশ মহিলাকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, লিফটে শ্লীলতাহানির অভিযোগে আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।"
সাম্প্রতিক যৌন নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে
এই ঘটনা এমন এক সময়ে ঘটল, যখন কয়েকদিন আগেই কর্ণাটকের কোপ্পাল জেলায় দুই মহিলার উপর যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে একজন ছিলেন ইসরায়েলের পর্যটক। তাদের তিন যুবক ধর্ষণ করে এবং এক পুরুষ সঙ্গীকে তুঙ্গভদ্রা নদীর খালে ঠেলে দেয়, যার ফলে তিনি ডুবে মারা যান।
দেশজুড়ে পরপর এমন ভয়াবহ ঘটনা নতুন করে নিরাপত্তা প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। বিদেশি পর্যটক ও নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া দরকার বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, তদন্ত চলছে এবং অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।