কোনও সিমোমার প্লটের থেকে কম নয় উত্তরপ্রদেশের এই ঘটনা। যে বান্ধবীর সঙ্গে ঘর বাঁধতে নিজের লিঙ্গ পরিবর্তন করেছিলেন, সেই মেয়েই অন্য ছেলের প্রেম করে ঘর ভাঙলেন। ঘটনা সে রাজ্যের ঝাঁসির। ওই দুই তরুণী একে অপরের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছেন। থানা, পুলিশের পর বিষয়টি এখন আদালতে গড়িয়েছে।
ঝাঁসিতে একটি পরিবারে পেয়িং গেস্ট থাকতে এসেছিলেন সানা। সেই বাড়ির মেয়ে সোনালের সঙ্গে তাঁর মধুর সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ক্রমশ গড়ায় প্রণয়ের সম্পর্কে। সম্পর্কের বয়স যখন মাস চারেক, তখন সোনালের বাড়ি থেকে দু’জনের মেলামেশায় বাধা দেওয়া হয়। সরকারি চাকুরে সানা অফিস থেকে একটি কোয়ার্টার পান। পেয়িং গেস্ট ছেড়ে সেখানে এসে ওঠেন তিনি। কিছু দিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে সানার কাছে চলে আসেন সোনালও। শুরু হয় দু’জনের সংসার।
এই সময়ের মধ্যে সানাকে লিঙ্গ পরিবর্তন করাতে রাজি করিয়ে ফেলেন সোনাল। দু’জনে মিলেই যান দিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালে। সেখানে নানা ধরনের পরীক্ষার পর চিকিৎসকেরা জানান, লিঙ্গ পরিবর্তন করতে পারেন সানা। সেই মতো ২০২০-এর ২২ জুন অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে নারী থেকে পুরুষ হয়ে ওঠেন সানা। নতুন নাম নেন সোহেল খান। এরই মধ্যে সরকারি চাকরি পেয়ে যান সোনালও। সমস্যার সূত্রপাতও তখন থেকেই।
হাসপাতালে ভর্তির সময়, সোনাল সোহেল খানের 'স্ত্রী' হিসাবে সমস্ত মেডিকেল নথিতে স্বাক্ষর করেছিলেন, সানা দাবি করেছেন।। সানা আগে থেকেই সরকারি চাকরিতে নিযুক্ত থাকলেও সোনালও একটা চাকরি চেয়েছিল। ২০২২ সালে সোনাল ইয়াথার্থ হাসপাতালে চাকরি পেয়েছিলেন।
কিন্তু তারপর থেকেই সোনাল সানাকে এড়িয়ে চলতে শুরু করে এবং হাসপাতালে তার বেশিরভাগ সময় কাটায়, যা প্রায়শই তাদের মধ্যে ঝগড়ার কারণ হয়।এক দিন সানা জানতে পারেন, যে হাসপাতালে সোনাল চাকরি করেন, সেখানেই জনৈক জ্ঞানের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছেন সোনাল। সোনাল স্পষ্টই সানাকে জানিয়ে দেন, তিনি জ্ঞানের সঙ্গেই থাকতে চান।
এরপর সোনালের পরিবার সানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণের অভিযোগ দায়ের করে। এরপর সানা আদালতের দ্বারস্থ হন। আদালত থেকে সোনালকে হাজিরা দেওয়ার জন্য সমন করা হয়। কিন্তু একের পর এক সমনেও নীরব থাকেন সোনাল। তাই পুলিশ গত ১৮ জানুয়ারি তাঁকে গ্রেফতার করে। এমনকি তিনি এবং তার পরিবার সানার বিরুদ্ধে ধর্ষণ, অপহরণ এবং হয়রানির অভিযোগ এনে একটি মামলাও করেছিলেন। মামলাটির পরবর্তী শুনানি ২৩ ফেব্রুয়ারি।