Advertisement

Lord Krishna Idol Marriage: 'ভক্তের ভগবান,' ধুমধাম করে কৃষ্ণকে বিয়ে করলেন তরুণী, VIRAL Video

ভগবানের প্রতি ভক্তির এক অনন্য নিদর্শন। ২৮ বছরের পিঙ্কি শর্মা বিয়ে করলেন ভগবান কৃষ্ণের মূর্তিকে। উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলায় একবারে হিন্দু মতেই হল বিয়ে।

ভগবান কৃষ্ণকে বিয়েভগবান কৃষ্ণকে বিয়ে
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 09 Dec 2025,
  • अपडेटेड 11:44 AM IST
  • ভগবানের প্রতি ভক্তির এক অনন্য নিদর্শন
  • ২৮ বছরের পিঙ্কি শর্মা বিয়ে করলেন ভগবান কৃষ্ণের মূর্তিকে
  • উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলায় একবারে হিন্দু মতেই হল বিয়ে

ভগবানের প্রতি ভক্তির এক অনন্য নিদর্শন। ২৮ বছরের পিঙ্কি শর্মা বিয়ে করলেন ভগবান কৃষ্ণের মূর্তিকে। উত্তরপ্রদেশের বাদাউন জেলায় একবারে হিন্দু মতেই হল বিয়ে।

শনিবার সব হিন্দু নিয়ম মেনেই বিয়ে করেন পিঙ্কি। এমনকী তিনি সাত পাকও ঘোরেন। হাতে ভগবান কৃষ্ণের মূর্তি নিয়েই তিনি সাত পাক ঘোরেন। বিয়ের পরের দিন তাঁর বাপের বাড়ি থেকে বিদায় অনুষ্ঠানও হয়।

এক্ষেত্রে গোটা গ্রামই এই বিয়েতে অংশ নেন। গ্রামের প্রত্যেকটা মানুষ পিঙ্কির পরিবার হিসেবে বিয়েতে অংশগ্রহণ করেন। ও দিকে আবার পিঙ্কির আত্মীয় ইন্দ্রেশ শর্মা প্রতীকীভাবে বরপক্ষ হিসাবে এই বিয়েতে অংশ নেন।

আজতকের সঙ্গে কথা বলার সময় পিঙ্কি খোলসা করে জানান যে, এটা শুধু তাঁর ব্যক্তিগত কোনও সিদ্ধান্ত নয়। বরং এই বিয়ে ঐশ্বরিক চিহ্নের জন্যই হয়েছে।

আসলে ৩ মাস আগে বৃন্দাবনের বঙ্কে বিহারি মন্দিরে গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি প্রসাদের সঙ্গে একটি আংটি পান। সেই আংটিই ঈশ্বরের দান ছিল বলে মনে করেন তিনি।

আর এই ঘটনার পর থেকেই তিনি বৃন্দাবনে থাকার জন্য ছটপট করতে থাকেন। তিনি তাঁর জীবন ঈশ্বরের প্রতি উৎসর্গ করতে চান। ধ্যান এবং আধ্যাত্মিকতায় জীবন সপে দিতে চান।

তবে নিজের চালানোর খরচা জোগার করার চিন্তাও নেই পিঙ্কির মনে। তিনি মনে করেন, ভগবান কৃষ্ণ তাঁর সঙ্গেই রয়েছেন। তিনিই সব কিছু দেখে নেবেন।

যদিও পিঙ্কির এই সিদ্ধান্ত বুঝতেই পারেনি তাঁর পরিবার। তাঁর বাবা সুরেশচন্দ্র শর্মা জানান, তাঁরা পিঙ্কির জন্য অনেক দিন ধরেই একজন পাত্রী খুঁজছিলেন। তবে তাঁর মেয়ে ভগবান কৃষ্ণের সঙ্গে বিয়ে করার জন্য জোর করতে থাকে।

তবে সোনার আংটি পাওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর পিঙ্কির কথা মেনে নেন পরিবারের সদস্যেরা। তাঁরা সকলে মিলে বিয়ের ১০ দিন আগে বৃন্দাবনে গিয়ে কৃষ্ণের মূতি কিনে আনেন।

এই বিয়ে যিনি দেন, সেই পণ্ডিত রামশঙ্কর মিশ্র জানান, সম্পূর্ণ নিয়ম এবং নীতি মেনেই এই বিয়ে হয়েছে। পিঙ্কি এখন তাঁর আত্মীয়ের বাড়িতে থাকবেন। সেই আত্মীয়কেই কৃষ্ণের পরিবার হিসেবে দেখা হবে। আর বিয়ের পর থেকেই পিঙ্কিকে মীরা নামে ডাকতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা।

Advertisement

পিঙ্কির কথায়, বিয়ের পরই তাঁর জীবন বদলে গিয়েছে। তিনি এখন কৃষ্ণ সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে চান।

Read more!
Advertisement
Advertisement