'মোকা' ঘূর্ণিঝড় থেকে রক্ষা পেয়েছে এপার বাংলা। রবিবার অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়েছে মায়ানমারের সিতওয়াতে। বাংলাদেশের কক্সবাজার ও সংলগ্ন এলাকাতেও ঘূর্ণিঝড়ের দাপট দেখা গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে কোনও প্রভাবই পড়েনি। মৌসম ভবন ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের বিপরীতমুখী বেগের কারণেই এপার বাংলায় ন্যূনতম প্রভাব পড়েনি। কারণ বিপরীতমুখী বেগই ঘূর্ণিঝড়কে পশ্চিমে এগোতে দেয়নি। মোকা তো গেল! এবার পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম কী? জানলে অবাক হবেন, পরের ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে রয়েছে বাংলা যোগ। এবার ধেয়ে আসবে 'বিপর্যয়'।
রবিবার মায়ানমার উপকূলে লণ্ডভণ্ড করে মোকা। রবিবার দুপুর ১২টা ৩০ মিনিট থেকে ২টো ৩০ মিনিট পর্যন্ত মায়ানমার উপকূলে মোকার তাণ্ডবলীলা চলে। ঝড়ের গতিবেগ ছিল ১৯০ কিলোমিটার পর্যন্ত। প্রভাব পড়ে বাংলাদেশেও। ঝড়ের সঙ্গেই চলে বৃষ্টি। এই ঘূর্ণিঝড় 'মোকা'র নামকরণ করেছিল ইয়েমন। সে দেশের বন্দর শহর মোকার নামে এই নাম দেওয়া হয়েছিল। এই শহরেই চাষ হয় মোকা কফির। যা গোটা বিশ্বে সমাদৃত। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে রয়েছে বঙ্গ যোগ। কারণ আগামী ঘূর্ণিঝড়টির নাম 'বিপর্যয়'।
বিশ্বের সব প্রান্তে রয়েছে রিজিওনাল স্পেশালাইজড মেটিওরোলজিক্যাল সেন্টার (RSMC) এবং ট্রপিক্যাল সাইক্লোন ওয়ার্নিং সেন্টার (TCWS)। এরই সংশ্লিষ্ট এলাকার ঝড়ের নাম ঠিক করে। নয়াদিল্লির আবহাওয়া দফতর নর্থ ইন্ডিয়ান ওশেন রিজিয়নে নামকরণ ঠিক করে। প্রতিটি দেশ থেকে নেওয়া হয় নাম। মোকা নামটি যেমন ইয়েমেন দিয়েছে, ঠিক তেমন করে আগের ঘূর্ণিঝড় মন্দৌস-এর নামকরণ করেছিল সংযুক্ত আরব আমিরশাহি। তার আগে সিত্রং ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ করেছিল থাইল্যান্ড। এর পরের ঘূর্ণিঝড়ের নাম 'বিপর্যয়'। যে নামটি বাংলাদেশের দেওয়া। তার পর আছড়ে পড়বে 'তেজ'। যার নামকরণ করেছে ভারত। পরের ঘূর্ণিঝড় 'হামুন'। ইরানের দেওয়া নাম।
আরও পড়ুন- বিশাল হাবভাব, যেন সবজান্তা! মেকি বুদ্ধিজীবী চিনুন এই ৫ টিপসে
আরব সাগর, বঙ্গোপসাগর ও উত্তর ভারত মহাসাগর সংলগ্ন যে ঘূর্ণিঝড়গুলি তৈরি হয় তার নামকরণ করে দিল্লিস্থিত মৌসম ভবন। ১৩টি দেশের কাছে পাঠানো হয় পূর্বাভাস। সদস্য দেশগুলির নাম- বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মলদ্বীপ, মায়নমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরশাহি এবং ইয়েমেন। তারাই ঘূর্ণিঝড়ের নামের প্রস্তাব দেয়। যা হোক নাম রাখা যায় না। তার কিছু নিয়ম রয়েছে। যেমন ছোট, শুনতে ভালো লাগা এবং সহজে উচ্চারণ করা যায়, এমন নামই বেছে নেওয়া হয়। প্রতিটি দেশ নাম পাঠায়। তা থেকে চয়ন করে সংশ্লিষ্ট কমিটি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় সর্বসম্মতিক্রমে।