West Nile Fever-এ একজনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষ করে কেরলে এই ভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছে। সেই রাজ্যে ৪৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। এর আগে ২০১৯ সালে, এক শিশুও এই জ্বরে মারা গিয়েছিল।
সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, যিনি মারা গিয়েছেন, ব্যক্তি মারা গেছেন তাঁর শরীরে গত ১৭ মে থেকে জ্বর এবং অন্য লক্ষণ দেখা দিতে শুরু করে। তাঁকে ত্রিশুর সরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। সেখানে তিনি মারা যান। West Nile Fever-এ মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য দফতরও সতর্কতা নিয়েছে। এরপর ওই ব্যক্তি যেখানে থাকতেন সেখানে একটি মেডিকেল টিমও পাঠানো হয়।
West Nile Fever কী?
WHO জানিয়েছে, West Nile Fever-ভাইরাসের ১৯৩৭ সালে রিপোর্ট করা হয়েছিল। এরপর উগান্ডায় বসবাসকারী এক মহিলা এতে আক্রান্ত হন। ১৯৫৩ সালে এই ভাইরাসটি উত্তর মিশরের নীল ব-দ্বীপ অঞ্চলে পাখিদের মধ্যে পাওয়া যায়। এরপর কাক ও পায়রার মধ্যেও এই ভাইরাস পাওয়া যায়। ১৯৯৭ সালের পর এই ভাইরাসের একটি বিপজ্জনক স্ট্রেন ইজরায়েলে পাওয়া যায়। এতে অনেক পাখি মারা যায়। WHO-র মতে, ৫০ বছরে অনেক দেশে মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন : ঘণ্টায় ১ হাজার উল্কাপাত! রাতের আকাশে মহাজাগতিক বিস্ময় আজ ও কাল
কীভাবে এই ভাইরাস মানুষের মধ্যে ছড়ায়? সাধারণত মশা মানুষের মধ্যে এই ভাইরাস ছড়িয়ে থাকে। এই ভাইরাস পাখিদের মধ্যে থেকেও ছড়ায়। পাখি থেকে মশা এবং মশা থেকে মানুষের মধ্যে আসে। মশা যখন আক্রান্ত পাখিকে কামড়ায় তখন তাদের মধ্যে এই ভাইরাস আসে। এই সংক্রামিত মশাগুলো যখন মানুষকে কামড়ায় তখন মানুষ এতে আক্রান্ত হয়।
এই রোগটির লক্ষণ কী কী?
WHO এর মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে ৮০ শতাংশেরও বেশি মানুষের মধ্যে কোনও লক্ষণ দেখা যায় না। West Nile Fever-এর কারণে জ্বর, মাথাব্যথা, ক্লান্তি, বমি এবং কখনও কখনও ত্বকে লাল দাগ দেখা দেয়। আক্রান্ত ১৫০ জনের মধ্যে মাত্র ১ জনের মধ্যে গুরুতর লক্ষণ দেখা দেয়।
মাথাব্যথা, ঘাড় শক্ত হওয়া, কাঁপুনি, খিঁচুনি, পেশী দুর্বলতার মতো লক্ষণ এতে দেখা যায়। এই ভাইরাসে যে কোনও মানুষই আক্রান্ত হতে পারে। তবে ৫০ বছরের বেশি বয়সিদের এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি।
এর চিকিৎসা কী ও কীভাবে আক্রান্ত হওয়া থেকে বাঁচবেন?
এই ভাইরাসের মোকাবিলায় কোনও ভ্যাকসিন নেই। জ্বর হলে এবং ভাইরাস নিশ্চিত হওয়ার পরই চিকিৎসা করা যেতে পারে। এই ভাইরাস থেকে বাঁচতে আপনার চারপাশে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে হবে। মশাদের বংশবৃদ্ধি রুখতে হবে। পশু থেকে মানুষে সংক্রমণ রোধ করার জন্য, অসুস্থ প্রাণীদের চিকিৎসা করানো প্রয়োজন। তবেই এই ভাইরাসের সংক্রমণ থেকে বাঁচা সম্ভব।