Advertisement

বাতিল ২০০০-এর বেশি বিমান, কেন বিপর্যস্ত IndiGo-এর পরিষেবা? সব প্রশ্নের উত্তর

দেশের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে শত শত যাত্রীরা বিমান ধরার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে বহু যাত্রী রয়েছেন যাদের এমার্জেন্সি কারণে সফর করতে হচ্ছিল। কেন বিপর্যস্ত IndiGo-র পরিষেবা, সরকার না উড়ান সংস্থা, দায় কার?

ইন্ডিগো বিমান পরিষেবা বিপর্যস্তইন্ডিগো বিমান পরিষেবা বিপর্যস্ত
Aajtak Bangla
  • দিল্লি,
  • 06 Dec 2025,
  • अपडेटेड 10:42 AM IST
  • এই পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন DGCA-র নয়া নিয়মকে।
  • বিমানকর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় তাঁদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল DGCA।
  • সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ইন্ডিগোর যাত্রীরাই।

দেশজুড়ে বিপাকে পড়েছেন বিমানযাত্রীরা। বিশেষ করে গত কয়েকদিন ধরে ইন্ডিগোর বিমান যাত্রীদের চরম নাজেহাল হতে হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে শত শত যাত্রীরা বিমান ধরার জন্য অপেক্ষা করছেন। এদের মধ্যে বহু যাত্রী রয়েছেন যাদের এমার্জেন্সি কারণে সফর করতে হচ্ছিল। কিন্তু বিমান বিভ্রাটের কারণে আটকে পড়তে হয়েছে অনেককেই। বৃহস্পতি, শুক্রবারের পর শনিবারও চলছে ভোগান্তি। কিন্তু কী কারণে এমনভাবে বিপাকে পড়ল বিমান পরিষেবা,বুঝে নেওয়া যাক।

বিশেষ বিষয় হল, সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন ইন্ডিগোর যাত্রীরাই। কারণ বিশেষ করে বাতিল করা হয়েছে এবং পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্ডিগোর বিমানগুলিই।

কেন এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হল?

এই পরিস্থিতির জন্য অনেকেই দায়ী করছেন DGCA-র নয়া নিয়মকে। ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে পাইলট ও বিমানকর্মীদের স্বার্থ রক্ষায় তাঁদের কাজের সময় নির্দিষ্ট করে দিয়েছিল DGCA। ‘ফ্লাইট ডিউটি টাইম লিমিটেশনস’ নামের ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল-

  • ১) পাইলট ও বিমানকর্মীদের ৪৮ ঘণ্টার সাপ্তাহিক বিশ্রাম দিতেই হবে। আগে এই সময় ছিল ৩৬ ঘণ্টা। 
  • ২) প্রতি সপ্তাহে রাতে মাত্র ২টি বিমান অবতরণ করতে পারবেন পাইলটরা। আগে এই সংখ্যা ছিল ৬টি।
  • ৩) পাইলট ও বিমানকর্মীদের নাইট ডিউটি সপ্তাহে পরপর দু'দিন একবারই দেওয়া যাবে।
  • ৪) পাইলটরা 'লিভ' বা 'ছুটি' নিলে তা সাপ্তাহিক বিশ্রামের আওতায় আসবে না। যদিও এই নিয়মটি আপাতত স্থগিত করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এই বিধি নির্দেশিকা ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে আনা হলেও, বিমান কোম্পানিগুলির বারংবারং অনুরোধে তা লাগু করা থেকে পিছিয়ে আসছিল DGCA। কিন্তু সম্প্রতি এই বিধি কার্যকর করার জন্য খোদ দিল্লি হাইকোর্ট  DGCA-কে নির্দেশ দেয়। এরপরই জুন ও নভেম্বর মাসে দুই দফায় এই নির্দেশিকা কার্যকর করতে শুরু করে দেশের উড়ান নিয়ন্ত্রক সংস্থা।

কেন IndiGo-ই সবচেয়ে বেশি সমস্যায়?

দেশীয় আভ্যন্তরীণ উড়ান পরিষেবার ক্ষেত্রে  ইন্ডিগো তুলনামূলক অনেকটাই সস্তা। ফলে এই এয়ারলাইন্সটির উপরে এমনিতেই যাত্রীচাপ বেশি থাকে। পরিসংখ্যান বলে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষেত্রেও একাধিক এয়ারলাইন্সের থেকে এগিয়ে রয়েছে ইন্ডিগো। দেশের প্রায় ৯০টি এয়ারপোর্টে পরিষেবা রয়েছে এই সংস্থার। এছাড়াও, ইন্ডিগোর প্রচুর সংখ্যক বিমান রাতে চলাচল করে। নয়া বিধিনিষেধে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে রাতের বিমান চলাচলেই। যার জেরে ভুগতে হচ্ছে IndiGo-কে। কারণ নিয়ম মেনে পরিষেবা দিতে যে পরিমাণে পাইলটের প্রয়োজন, তা এখনও ইন্ডিগোর কাছে নেই।

IndiGo-র তরফে কী জানানো হল?

Advertisement

শুক্রবার ইন্ডিগোর CEO পিটার এলবার্স ভিডিও বিবৃতিতে যাত্রীদের কাছে বিশৃঙ্খলা ও অসুবিধার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। তিনি জানান, বিগত কয়েক দিনে ১,০০০-রও বেশি ফ্লাইট বাতিল হয়েছে। ইন্ডিগো পরিষেবা স্বাভাবিক ছন্দে ফেরাতে সর্বোচ্চ চেষ্টা চালাচ্ছে। ইন্ডিগোর স্বাভাবিক ফ্লাইট অপারেশন ১০–১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণ ভাবে আগের ছন্দে শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সরকারের কী পদক্ষেপ?

নিঃসন্দেহে DGCA এই নয়া নির্দেশিকা লাগু করেছিল বিমানকর্মী ও পাইলটদের সুবিধার কথা ভেবেই। কিন্তু তার জন্য বিমান সংস্থাগুলি কতটা প্রস্তুত তা চূড়ান্ত করা হয়নি বলে অভিযোগ। ফলে দেশজুড়ে বিপাকে পড়েছে ইন্ডিগোর বিমান পরিষেবা। চরম বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হতেই  শুক্রবার বিষয়টির উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রের অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রক। এছাড়া, বিমানমন্ত্রী রামমোহন নায়ডু গোটা বিষয়টি নিয়ে ইন্ডিগো কর্তাদের সঙ্গে কথাও বলেন। কিন্তু কেন আগে থেকেই নয়া নিয়মবিধি মানতে ইন্ডিগোকে চাপ দেওয়া হয়নি? কোথায় ছিল গাখেলাপি? তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছেই।
 

Read more!
Advertisement
Advertisement