রাস্তায় চলতে চলতে কোনও ভিক্ষুককে পয়সা দিলেই হবে বড় বিপদ। পড়তে হতে পারে মামলার মুখে। ভারতেরই একটি শহরে শুরু হতে চলেছে এমনই একটি নিয়ম।
মামলা হতে পারে আপনার বিরুদ্ধে
মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। সেই কারণেই এই কড়া পদক্ষেপ করা হতে চলেছে স্থানীয় প্রশাসনের তরফ থেকে। ১ জানুয়ারি থেকে যাঁরা কোনও ভিক্ষুককে যদি কেউ টাকা দেন, তবে তাঁর বিরুদ্ধেই এফআইআর দায়ের করবে জেলা প্রশাসন। ইন্দোরের ডিস্ট্রিক্ট কালেক্টর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, শহরে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার জন্য পদক্ষেপ করা হচ্ছে। তিনি বলেছেন, ‘এই মাসের শেষ পর্যন্ত ভিক্ষা রুখতে আমাদের প্রচার চলবে। ১ জানুয়ারি থেকে যদি কাউকে কোনও ভিক্ষুককে আর্থিক সাহায্য দিতে দেখা যায় তাহলে সেই ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হবে।’ তাঁর বার্তা, ইন্দোরের কোনও বাসিন্দা যেন কোনও ভিক্ষুককে টাকা না দেন।
ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পাইলট প্রকল্প রয়েছে। তারই অধীনে ইন্দোরকে ভিক্ষুকমুক্ত শহর হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১০টি শহর রয়েছে। সেগুলি হল, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, লখনউ, মুম্বই, নাগপুর, পাটনা এবং আহমেদাবাদ।
ভিক্ষুকদের রুখতে অভিযান
এর আগে ভিক্ষুকদের রুখতে পরপর অভিযান চালানো হয়েছে ইন্দোরে। সেই কাজ করতে গিয়ে নানারকম অভিজ্ঞতা হয়েছে সরকারি কর্মীদের। এক বৃদ্ধা ভিক্ষুকের কাছ থেকে মিলেছে ৭৫ হাজার টাকা। কোনও ভিক্ষুকের পাকা বাড়ির খোঁজ মিলেছে। কোথাও দেখা গিয়েছে, কারও সন্তান ভালো কোনও চাকরি করেন। রাজস্থান থেকে একটি পরিবার ইন্দোরে এসে একটি হোটেলে থেকে শহরে ভিক্ষা করছিল, এমন ঘটনাও দেখা গিয়েছে।
মধ্যপ্রদেশের সমাজ কল্যাণ নারায়ণ সিং কুশওয়াহা মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই কাজের সরকারকে সাহায্য করছে ইন্দোরের একটি সংস্থা। ভিক্ষুকদের ৬ মাসের জন্য আশ্রয় দেবে ওই সংস্থা। তাঁদের জন্য কাজ খুঁজতে সাহায্য করবে। ভিক্ষার মতো অবস্থা থেকে নাগরিকদের বের করে আনার জন্যই প্রশাসন চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।