ফের মণিপুরে নৃশংসতার নজির। 21 ও 24 বছরের দুই তরুণীকে মুখে কাপড় গুঁজে 200 জন মিলে ধর্ষণ করে খুন করে বলে অভিযোগ। মণিপুরের কাংপোকপি জেলার এই ঘটনায় নতুন করে শোরগোল পড়ে গিয়েছে সারা দেশে। মণিপুরে যে দিন দুই মহিলাকে নগ্ন করে যৌন নিগ্রহের ঘটনা ঘটে সেদিনই কাংপোকপিতে এই হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে। ওই দুই তরুণী কোনুং মামাংয়ে গাড়ি ধোওয়ার কাজ করতেন। গত 4 মে তাঁরা যখন কাজ করছিলেন, সেই সময় ঘটনাস্থলে হাজির হয় একদল দুষ্কৃতী। অভিযোগ, তারা ওই দুই তরুণীকে একটি ঘরের মধ্যে ঢুকিয়ে তাঁদের উপর পাশবিক নির্যাতন চালানো হয়। ঘরে ঢুকিয়ে আলো নিভিয়ে দেওয়া হয়। এরপর ওই দুই তরুণীর মুখ কাপড় গুঁজে দিয়ে চলে নির্যাতন। এরপর একে একে 200 জন প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে ওই দুই তরুণীর উপর নির্যাতন চালায়। ততক্ষণে ওই দুই তরুণীর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। এরপর একসময় মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর দেহ দুটিকে ফেরে দেওয়া হয় পাশের একটি কাঠ চেরাই কলের কাছে। উদ্ধার হওয়ার সময় ওই দুই তরুণীর জামাকাপড় ছেড়া ছিল। মাথার চুল ছিল কাটা। এছাড়া সারা শরীর রক্তাক্ত ও আঘাতের চিহ্ন ছিল। প্রথমদিকে লজ্জায় বিষয়টি নিয়ে মুখ না খুললেও পরে সাহস করে একজন তরুণীর মা 16 মে সাইকুল থানায় জিরো এফআইআর দায়ের করেন। এফআইআরে ওই তরুঅণীর মা উল্লেখ করে পাশবিক অত্যাচার চালানোর পর নৃশংসভাবে খুন করা হয় তাঁর মেয়েকে। পরে ওই এফআইআর পোরোম্পাত থনায় স্থানান্তরিত হয়। যদিও সেই এফআইআরের ভিত্তিতে কোনও ব্যবস্থা গৃহীত হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। কারণ এবিষয়ে পুলিশের তরফে কোনও কিছুই জানানো হয়নি। তাছাড়া কাউকে গ্রেফতারও করা হয়নি। অশান্ত মণিপুরে এরকম পরপর ঘটনা সামনে আসছে। একে একে সেগুলির তদন্তও শুরু করছে পুলিশ। তবে একইসঙ্গে উঠেছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ।