Advertisement

Akshaya Tritiya 2025 Exact Timing: বুধবার অক্ষয় তৃতীয়া, জেনে নিন পুজোর শুভ তিথি- সোনা কেনার শুভ সময়

Akshaya Tritiya 2025: বিশ্বাস অনুযায়ী, যে কোনও কাজ সম্পন্ন করার জন্য এদিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। লক্ষ্মী- নারায়ণের আরাধনা এবং নতুন জিনিস কেনার জন্যও এই দিনটিকে সেরা মনে করা হয়।

Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 28 Apr 2025,
  • अपडेटेड 11:29 AM IST

হিন্দু ধর্মে প্রায় সারা বছরই নানা উৎসব চলতে থাকে। যার মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব হল অক্ষয় তৃতীয়া। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে অক্ষয় তৃতীয়ার উৎসব পালিত হয়। বিশ্বাস অনুযায়ী, যে কোনও কাজ সম্পন্ন করার জন্য এদিন অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।

লক্ষ্মী- নারায়ণের বা লক্ষ্মী -গণেশের আরাধনা এবং নতুন জিনিস কেনার জন্যও এই দিনটিকে সেরা মনে করা হয়। কথিত আছে, এই শুভ তিথিতে কেনা জিনিসের ফল চিরস্থায়ী হয়। বিশেষ করে এদিন সোনা কেনা খুবই শুভ।  

 

আরও পড়ুন

 

অক্ষয় তৃতীয়া ২০২৫-র কবে পড়েছে?

আগামী ৩০ এপ্রিল (বাংলায় ১৬ বৈশাখ) অক্ষয় তৃতীয়ার শুভ তিথি পড়েছে। 

তৃতীয়া তিথি কতক্ষণ থাকবে?

২৯ এপ্রিল সন্ধ্যা  ৮/২২/৫৪ থেকে ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬/১০/৪৬ পর্যন্ত তৃতীয়া থাকবে।

সোনা কেনার শুভ সময়

আপনি যদি অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা কেনার পরিকল্পনা করে থাকেন, তবে সবচেয়ে শুভ সময় হল ৩০ এপ্রিল সকাল ৬:১১ থেকে দুপুর ২:১২ মিনিট পর্যন্ত। এছাড়া ২৯ এপ্রিল সোনা কিনতে চাইলে, বিকাল ৫:৩১ থেকে ৩০ এপ্রিল সকাল ৬:১১ মিনিট পর্যন্ত সময়ও শুভ।

 

 অক্ষয় তৃতীয়ার রীতিনীতি 

সংস্কৃত অনুসারে 'অক্ষয়' শব্দের অর্থ হল 'যার কোনও ক্ষয়' নেই অর্থাৎ যা কখনও শেষ হয় না। তাই মনে করা হয় অক্ষয় তৃতীয়ায় করা যে কোনও কাজ অক্ষয় থাকে। সেই সঙ্গে শাস্ত্র মতে, অক্ষয় তৃতীয়া সুখ প্রদানকারী এবং পাপ নাশকারী তিথি। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন ব্যবসায়ী লক্ষ্মী- গণেশ পুজোর আয়োজন করেন। অনেকে দোকানে এদিন হালখাতাও হয়। শুধু দোকান নয়, অনেকে বাড়িতেও পুজো করেন। এছাড়া বিভিন্ন মন্দিরে ভক্তেরা ভিড় জমান। বিশ্বাস করা হয় যে, এদিন সোনা কিনলে পরিবারে সুখ-সমৃদ্ধি ঘটে।      

অক্ষয় তৃতীয়ায়, এমন কাজ করুন যার জন্য আপনার পুণ্য দেবে। এদিন ঈশ্বরের উপাসনা, উপাসনা ও ধ্যান করুন। নিজের আচরণ মিষ্টি রাখুন। সম্ভব হলে কাউকে সাহায্য করুন। যারা আপনার দরজায় খালি হাতে আসে, তাদের দূরে সরিয়ে দেবেন না। তাদের অনুদান দিতে ভুলবেন না। অক্ষয় তৃতীয়ায় সোনা বা মূল্যবান জিনিস কেনাও শুভ বলে মনে করা হয়।

Advertisement

 

অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো বিধি

যে ব্যক্তি এদিন উপবাস রাখে তার উচিত, সকালে ঘুম থেকে উঠে স্নান করে হলুদ রঙের জামাকাপড় পরা। বাড়িতে ভগবান বিষ্ণুর মূর্তি গঙ্গাজল দিয়ে স্নান করিয়ে তুলসী, হলুদ ফুল অর্পণ করুন। এরপর ধূপ ও ঘি দিয়ে প্রদীপ জ্বালিয়ে হলুদ আসনে বসান। এছাড়াও বিষ্ণু সহস্রনাম, বিষ্ণু চালিসা গ্রন্থ পাঠ করুন। অবশেষে, ভগবান বিষ্ণুর আরতি করুন। এর সঙ্গে, কোনও অভাবী ব্যক্তিকে দান বা খাবার সরবরাহ করতে পারলে তা খুব ভাল বলে বিবেচিত হয়।

 অক্ষয় তৃতীয়া কেন গুরুত্বপূর্ণ? 

এই পুজোর সঙ্গে জড়িয়ে আছে কয়েকটি পুরাণের কথা। শোনা যায় মহাভারতে কৌরবদের কাছে পাশা খেলায় হেরে বারো বছরের জন্য বনবাস ও এক বছরের জন্য অজ্ঞাতবাসে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন পাণ্ডবরা। তাদের বনবাসে থাকার সময়ে ফের কৌরবদের চক্রান্তে মুনি দুর্বাসা তার শিষ্যদের নিয়ে এক রাতে পাণ্ডবদের আশ্রয় গ্রহণ করতে যান। কিন্তু সেই সময় তাদের ঘরে কোনও অন্ন ছিল না। ক্ষুধার্ত মুনি দুর্বাসা অভিশাপ দেবেন ভেবে ভয় পান পাণ্ডব ও দ্রৌপদী। ঠিক সেই সময়ে শ্রীকৃষ্ণ এসে হাঁড়ির তলায় লেগে থাকা একটিমাত্র চালের দানা খেয়ে নেন। আর অবাক করা বিষয়, তাতেই পেট ভরে যায় দুর্বাসা ও তাঁর শিষ্যদের। দুর্বাসার অভিশাপ থেকে এই অক্ষয় তৃতীয়ার দিনই পাণ্ডবদের রক্ষা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। তাই এই দিনটিকে শুভ বলে মনে করা হয়। 

 

আবার অন্য একটি চলতি পৌরাণিক কথা অনুসারে, বিষ্ণুর নবম অবতার কৃষ্ণ দ্বাপর যুগে জন্মগ্রহণ করেন মর্ত্যে। তার সুদামা নামে এক দরিদ্র ব্রাহ্মণ বন্ধু ছিলেন। সুদামা একদিনব ভুলবশত কৃষ্ণের সব খাবার খেয়ে ফেলেছিলেন। এরপর তিনি শ্রীকৃষ্ণকে খাবার দিতে একমুঠো চাল নিয়ে তার ঘরে আসেন। তাকে খাওয়ানোর জন্য বন্ধু সুদামার এই আচরণ মুগ্ধ করেছিল শ্রীকৃষ্ণকে। এরপর শ্রীকৃষ্ণের আশীর্বাদে সুদামার সমস্ত দারিদ্র্য ঘুচে যায়। মনে করা হয় যেদিন এই ঘটনা ঘটেছিল। সেদিন ছিল বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথি। তাই দিনটি বিশেষ শুভ। এছাড়াও শোনা যায়,অক্ষয় তৃতীয়ার দিনেই পরশুরাম জন্মগ্রহণ করেছিলেন। সেজন্যেও এই দিনটি শুভ। 


 

Read more!
Advertisement
Advertisement