বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ। তবে অনেক উৎসবগুলির মধ্যে সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল (Dol Yatra) বা হোলি (Holi)। তবে শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষের বেশির ভাগ স্থানেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। সাধারণত ফাল্গুন মাসেই হয় দোল উৎসব। জেনে নিন এবছরের দোলযাত্রার দিনক্ষণ।
রঙের উৎসবে কম বেশি সামিল হন সকলেই। আর এই বিশেষ দিন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পুজোও হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এদিন রাধা-কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। আবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই।
দোল ও হোলির তারিখ
এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ১৪ মার্চ (বাংলায় ২৯ ফাল্গুন)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। এবছর হোলি উৎসব পড়েছে ১৪ মার্চ।
দোল পূর্ণিমার সময়
১৩ মার্চ সকাল ১০/২৪ মিনিট থেকে ১৪ মার্চ সকাল ১১/৩৫ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
অমৃতযোগ
দিবা ঘ ৭।৬ মধ্যে ও ৭।৫৬ গতে ১০।২৪ মধ্যে ও ১২।৫২ গতে ২।৩১ মধ্যে ও ৪।১০ গতে ৫।৪২ মধ্যে এবং রাত্রি ঘ ৭।২২ গতে ৮।৫৫ মধ্যে ও ৩।৮ গতে ৩।৫৪ মধ্যে।
মাহেন্দ্রযোগ
রাত্রি ঘ ১০।২৮ গতে ১১।১৫ মধ্যে ও ৩।৫৪ গতে ৫।৫১মধ্যে।
হোলিকা দহন কখন?
হোলিকা দহন উৎসব হয় গোটা উত্তর ভারত জুড়ে। মনের কালিমাকে দূরে সরিয়ে আলোর উজ্জ্বলতায় জীবনকে ভরিয়ে তোলার প্রতিশ্রুতির জন্যে বিভিন্ন জায়গায় পালিত হয়। এবছর হোলিকা দহন হবে ১৩ মার্চ।
বসন্তে চারিদিকে এক অন্যরকম হাওয়া বয়। প্রকৃতিও তার চারিপাশ ঢেলে সাজায় এই সময়ে। বসন্তকে নিয়ে রয়েছে একাধিক গান। তা সে রবীন্দ্র সঙ্গীত হোক কিংবা আধুনিক। চারিদিক যেন রঙিন হয়ে ওঠে এই সময়ে। সে জন্যেই হয়তো বসন্তকে বলা হয় 'ঋতুরাজ'।