Advertisement

Mahalaya 2024 Rituals- Significance: দুর্গার চক্ষুদান থেকে পিতৃ তর্পণ, মহালয়ার প্রচলন কীভাবে শুরু?

Mahalaya 2024: মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়।

মহালয়া ২০২৪
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 02 Oct 2024,
  • अपडेटेड 6:40 AM IST

চারিদিকে পুজো পুজো গন্ধ। শুরু হয়ে গেছে দুর্গাপুজোর কাউন্টডাউন। মহালয়ার দিন পিতৃপক্ষের অবসান হয়ে, মাতৃপক্ষ শুরু হয়। সেদিনই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর সূচনা হয়। কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক।  

মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। এদিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়। মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। 

পুরাণ মতে, ব্রহ্মার বরে মহিষাসুর অমর হয়ে উঠেছিলেন। শুধুমাত্র কোনও নারীশক্তির কাছে তার পরাজয় নিশ্চিত। অসুরদের অত্যাচারে যখন দেবতারা অতিষ্ঠ, তখন ত্রিশক্তি ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর নারীশক্তির সৃষ্টি করেন। তিনিই মহামায়ারূপী দেবী দুর্গা। দেবতাদের দেওয়া অস্ত্র দিয়ে মহিষাসুরকে বধ করেন দুর্গা। এই জন্যেই বিশ্বাস করা হয় যে, এই উৎসব খারাপ শক্তির বিনাশ করে শুভশক্তির বিজয়।

পুরাণ অনুসারে মহালয়া 

কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাঁদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এজন্যেই দেবীপক্ষ শুরুর আগে পূর্ব পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করা হয়। 

দেবরাজ ইন্দ্রের অনুসারে মহালয়া 

পুরাণ মতে, দেবরাজ ইন্দ্রকে ১৬ দিনের জন্য মর্তে গিয়ে তর্পণ করতে পাঠান যমরাজ। আর এই ১৬ দিনই পিতৃপক্ষ নামে পরিচিত হয় এবং সেই সময় থেকেই মহালয়ার দিন এবং তার আগে ১৫ দিন পিতৃপুরুষদের জলদান করা হয়। 

Advertisement

রামায়ণ অনুসারে মহালয়া 

শাস্ত্রের নিয়মানুসারে, অকালে কোনও পুজো করলে ইষ্ট দেবতা ও প্রয়াত পিতা -মাতার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তর্পণ করতে হয়। শ্রী রামচন্দ্র, দেবী দুর্গার অকাল বোধন করেছিলেন। আর নিয়ম মেনে তাঁকেও পুজোর আগে করতে হয়েছিল তর্পণ। কথিত আছে রামচন্দ্র, মহালয়ার দিন পিতৃ তর্পণ করেছিলেন। আর সেই থেকেই শুরু হয় এই রীতির। 

মহাভারত অনুসারে মহালয়া 

কথিত আছে, স্বর্গে বসবাস করার সময় কর্ণের আত্মাকে খাবার হিসাবে শুধু সোনা ও রত্ন দেওয়া হয়। কারণ দাতা হিসাবে তিনি কখনও পিতৃপুরুষকে জল -খাবার দেননি, সকলকে সোনা -রত্ন দান করেছেন। আসলে কর্ণ, প্রথমে তাঁর পিতৃ পরিচয় জানতেন না। যুদ্ধের আগের রাতে কুন্তীর থেকে সে জানতে পারে সকল সত্যি। এরপরই ভুল সংশোধন করতে তর্পণের পরামর্শ আসে। 

মহালয়া ২০২৪ 

২ অক্টোবর (১৫ আশ্বিন), বুধবার। 

কতক্ষণ থাকছে অমাবস্যা তিথি?  

১ অক্টোবর রাত ৯/৪/৪৯ মিনিট অমাবস্যা তিথি শুরু হচ্ছে এবং থাকছে ২ অক্টোবর রাত ১১/৫/৩৭ মিনিট পর্যন্ত।  

মহালয়ার দিন ভোরে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের কন্ঠে মহিষাসুরমর্দিনীর শোনার রীতি বাঙালির যুগ যুগ ধরে চলে আসছে। মহালয়ার আগে ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ। উমার মর্তে আগমনের আগে পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ ঘিরে হিন্দু ধর্মে নানা রীতিনীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ শান্তি করলে, তাঁর আত্মা প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। মহালয়া কেটে যাওয়া মানে দুর্গা পুজোর আর ঠিক এক সপ্তাহ। চারিদিকে পুরদস্তুর শুরু হয়ে যায় দুর্গাপুজোর প্রস্তুতি ও উদযাপন।  
 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement