মানুষের ভবিষ্যৎ লেখা থাকে তাঁর হাতের রেখায়। যাঁরা জ্যোতিষ লুকিয়ে আছে। অনেকে বিশ্বাস করেন। অনেকে আবার একে হাসি-ঠাট্টায় উড়িয়ে দেন। কিন্তু এটা সত্যি। আপনার হাতের উপর তৈরি হওয়া রেখা সত্যিই আপনার ভবিষ্যৎ বলতে পারে। এই রেখাতে লুকিয়ে থাকা রহস্য জানার পরে আপনি হয়তো নিজেই অবাক হয়ে যাবেন।
হস্তরেখা শাস্ত্রে কোনও মানুষের হাত দেখে তাঁর পার্সোনালিটি, ভাগ্য এবং ভবিষ্যতের বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা করা যায়। আপনার হাতের প্রতিটি রেখা এবং দাগ আপনার ভিতরে খামতি এবং গুণগুলিকে পরিষ্কার জানিয়ে দেয়।
হস্তরেখা শাস্ত্রে শুধু মানুষের হাতের রেখা পড়া হয় তাই নয়, বরং তার মধ্যে আঙুল এবং নখ পড়েও ভবিষ্যৎ বলে দেওয়া যায়। এর মধ্যে মানুষের হাতের আকার বা আঙুলের দৈর্ঘ্য কতটা এবং ফ্লেক্সিবিলিটির মাধ্যমে তার ব্যক্তিত্ব এবং ভবিষ্যৎ বলা যায়।
যদি আপনি কখনও মন দিয়ে হাতের তালু বা চেটোর দিকে দেখেন, তাহলে দেখবেন, আমাদের হাতে উপর অনেক দাগ এলোমেলোভাবে রয়েছে। এর মধ্যে প্রত্যেক লাইন এবং কার্ভ-এর কিছু না কিছু মানে হয়। আপনি কি জানেন? যদি আমাদের হাতে এই দাগের মধ্যে H এর মত দাগ থাকে, তাহলে তার অর্থ কী?
হাতের উপর H তিনটি দাগের সাহায্যে তৈরি হয়। এটি আমাদের হার্ট, ভাগ্য এবং মস্তিষ্কের রেখা। হাতের উপর যখন এই রেখাগুলি নিজেদের মধ্যে জুড়ে যায়, তখন ইংরেজি H তৈরি হয়। আসুন এখন আপনাকে H এর মানে আমরা বুঝিয়ে দিই।
বলা হয় যে যে সমস্ত মানুষের হাতের উপর H থাকে, তার জীবনে, চল্লিশ বছর বয়সের পর কিছু সফল পরিবর্তন দেখা যায়। যেমন বয়সের এই সময়ের পর H রেখাওয়ালা ব্যক্তির নিজেরই বোধ হতে শুরু করে যে, তার জীবনে একটা ভালো ইউটার্ন শুরু হয়েছে।
এ সমস্ত লোক আচমকা জীবনে ধন বা খুব ভালো আর্থিক পরিস্থিতি দেখতে পান। ৪০ বছর এর আগে এই হস্তরেখাধারী লোকেরা কঠোর পরিশ্রম করলেও সেরকম ফল পাননি। এমন লোকেরা চল্লিশ বছর এর পর নিজেদের প্রয়োজন পূরণের জন্য লড়াই করে এসেছেন।
এ সমস্ত লোকেরা চল্লিশের পরে যাওয়ার পরে নিজেদের পরিশ্রমের ফল পান। তাঁদের ব্যবহার নিয়ে কথা বলতে গেলে, যে সমস্ত লোকেদের হাতে H থাকে তারা অত্যন্ত ইমোশনাল হন। যে সমস্ত লোকের হাতের H থাকে তাঁরা প্রায়ই লোকেদের সাহায্য করার জন্য নিজের রাস্তা থেকে সরে যান। শুধু তাই নয়, নিজেদের উদার স্বভাবের কারণে এরা অন্যের কাছ থেকে ঠকেও যান।
যে সমস্ত লোকেদের হাতে H থাকে, জীবনের প্রত্যেক স্টেপে সমস্যা এবং বিরোধের মুখে পড়েন। এই ধরণের লোকেরা নিজেদের শুভাকাঙ্ক্ষীদের সাহায্যে পেতে সবসময় তৎপর থাকেন।
জীবনের প্রথম ভাগে তাই তাঁদের ভাগ্যের সহায়তা খুব কম মেলে। কিন্তু তবুও তাঁরা কখনও হার মানেন না। তাঁরা সব সময় পজিটিভ চিন্তা-ভাবনার মধ্যে দিয়ে এগিয়ে যেতে থাকেন। তাঁরা স্বভাবে অত্যন্ত পরিশ্রমী হন। এই সমস্ত জিনিস তাঁদের বাকি লোকেদের থেকে আলাদা করে।