শুরু হয়ে গেছে দীপাবলির উৎসব। আলোকিত হচ্ছে চারিদিক। দীপাবলির পুজো খুব নিষ্ঠা মনে করেন সকলে। তবে জানেন কী এই বিশেষ দিনে দেশজুড়ে আর কোন কোন দেব-দেবীর পুজো হয়?
দীপাবলিতে লক্ষ্মী - গণেশ পুজোর চল সবচেয়ে বেশি। শুধু বাড়ি না, কর্মক্ষেত্রেও হয় এই পুজো।
ধনদেবতা কুবেরের পুজো করা হয় কার্তিক মাসের ত্রয়োদশীতে। পুজোর পাশা পাশি এই বিশেষ দিনে সোনা - রুপো ও ধাতু কেনা শুভ বলে মনে করা হয়।
কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে মূলত পশ্চিম বাংলায় পালন করা হয় শ্যামা পূজা অর্থাৎ কালীপূজা। এটিকে দীপান্বিতা কালীপূজাও বলা হয়। (ছবি: অনির্বাণ সিংহ রায়)
কালী পুজোর আগের দিন বাঙালিরা পালন করেন ভূত চতুর্দশী। বিশ্বাস করা হয়, এদিন ১৪ পুরুষের আত্মা আসে মর্ত্যে। তাই ১৪ পুরুষের উদ্দশ্যে ১৪ প্রদীপ জ্বালানো হয় ও ১৪ শাক খাওয়ার রীতি আছে বাঙালি বাড়িতে।
মহারাষ্ট্রে ও দক্ষিণ ভারতে চতুর্দশীর দিন ছোট দিওয়ালি পালন করা হয়। শ্রীকৃষ্ণের স্ত্রী সত্যভামার হাতে নিহত হয়েছিলেন নরকাসুর। তাই এই দিনটিকে নরক চতুর্দশীও বলা হয়।
কালীপুজোর দিন অনেক বাঙালি বাড়িতে লক্ষ্মী পুজো করা হয়। লক্ষ্মী পুজোর আগে হয় অলক্ষ্মী বিদায়। অর্থাৎ অশুভ শক্তিকে বিদায় জানিয়ে শুভ শক্তিকে আগমন জানানো হয় এদিন।
দীপাবলিতে মথুরা ও গোকুলে পালিত হয় গোবর্ধন পুজো। দেবরাজ ইন্দ্রের রোষে মথুরায় দেখা দিয়েছিল প্রবল বৃষ্টি। সেই সময় জেরবার মথুরাবাসীকে বাঁচাতে নিজের কনিষ্ঠায় গোবর্ধন পর্বত তুলে এনেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ। সেই থেকে এই দিন পালিত হয় বিশেষ উৎসব।
লোক কথা অনুযায়ী ১৪ বছর বনবাস করে দিওয়ালির দিন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন শ্রীরামচন্দ্র। তাঁর পথ আলোকিত করতে সুখ সমৃদ্ধির কামনায় লক্ষ্মী- গণেশ পুজো করা হয়।
দিওয়ালির দিন দক্ষিণ ভারতের একটি জনপ্রিয় চল অন্নকূট পুজো করা। ফল, মিষ্টি, চাল ইত্যাদি দিয়ে তৈরি করা হয় অন্নকূট কিংবা গোবর্ধন পর্বত। সেই পর্বতকে পুজো করা হয় এদিন।