আজ সারা দেশে দীপাবলি (দিওয়ালি)উদযাপিত হচ্ছে। এই দিন সন্ধ্যা ও রাতে শুভ মূহুর্তে দেবী লক্ষ্মী এবং গণেশের পূজা-অর্চনা করা হয়। পুরাণ অনুসারে, মহাত্মা লক্ষ্মী নিজেই কার্তিক অমাবস্যা রাতে এই ধরাধামে এসে প্রতিটি ঘরে প্রবেশ করেছিলেন। দীপাবলিতে দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করতে বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আসুন জেনে নেওয়া যাক বছরভর সুখ-সমৃদ্ধি অটুট রাখতে দীপাবলীর দিন কী কী কাজ করা উচিৎ...
আপনি যদি পদ্ম পাতার মালা দিয়ে ১০৮ বার মহালক্ষ্মী মহমন্ত্র যপ করেন তাহলে দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ অবশ্যই পাবেন। এ ছাড়াও দীপাবলিতে মহালক্ষ্মীর উপাসনায় হলুদ রঙের কড়ি রাখুন। এটি অর্থ সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা দূর করবে।
লক্ষ্মী পুজায় হলুদ অবশ্যই রাখুন এবং পুজোর পরে ওই হলুদ আপনার লকারে রাখুন। দীপাবলিতে বাড়িতে পূজায় লক্ষ্মী যন্ত্র, কুবের যন্ত্র এবং শ্রীযন্ত্রের স্থাপনা করুন। স্ফটিকের তৈরি শ্রীযন্ত্রের স্থাপনা করা সবচেয়ে মঙ্গলময়।
দীপাবলির দিন শিবলিঙ্গে চাল ও জল অর্পণ করুন। খেয়াল রাখবেন, যেন সমস্ত চালই গোটা থাকে! কারণ, এ ক্ষেত্রে ভাঙা চাল দেওয়া যাবে না। মন্দিরে গিয়ে বা বাড়িতে নিজেই এই কাজটি করুন। বছরভর সুখ-সমৃদ্ধি অটুট থাকবে।
দীপাবলির আমাবস্যায় শনিদেবকে সন্তুষ্ট করতে অশ্বথ গাছে জল দিন। এর ফলে কালসর্প দোষও কেটে যেতে পারে।
দীপাবলি উপলক্ষে ঝাড়ু কিনতে হয়। দীপাবলি উপলক্ষে কোনও মন্দিরে ঝাড়ু দান করুন। যদি আপনার বাড়ির আশেপাশে কোথাও মহলক্ষ্মীর কোনও মন্দির থাকে তাহলে সেখানে গোলাপের সুগন্ধযুক্ত ধূপের কাঠি দান করুন। নতুন ঝাড়ু দিয়ে সারা বাড়ি পরিষ্কার করুন।
দীপাবলিতে প্রদীপ করুন এবং প্রদীপে জ্বালিয়ে তাতে একটি লবঙ্গ রেখে হনুমান জির আরতি করুন। দীপাবলি উপলক্ষে লক্ষ্মী পুজোর পরে সমস্ত ঘরে শঙ্খ এবং ঘণ্টা বাজাতে হবে। এটি ঘরের সমস্ত নেতিবাচক প্রভাব কমিয়ে দেবে।