বাঙালি- হিন্দুদের বিয়ের সঙ্গে প্রজাপতির সম্পর্ক আছে। এই পতঙ্গকে অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়।
বিয়ে সংক্রান্ত যে কোনও জিনিসে প্রজাপতি আঁকা থাকে। এমনকী নিমন্ত্রণপত্রের উপরে লেখা থাকে 'শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নমঃ'।
অনেকে বিশ্বাস করেন, কোনও ব্যক্তির গায়ে প্রজাপতি বসলে তার শীঘ্রই বিয়ের সম্ভাবনা থাকে। সত্যিই কি তাই?
আসলে বিয়ের সঙ্গে পতঙ্গ প্রজাপতির সম্পর্ক নেই। প্রজাপতি হলেন পরমব্রহ্ম বা ব্রহ্মা। তিনি প্রজাদের পতি।
প্রজা মানে সাধারণ প্রাণীর সৃষ্টি তাঁর হাতেই। সেই মহান পুরুষকে নমস্কার জানিয়েই বিয়ের কার্ডে 'শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নমঃ' কথাটি লেখা হয়।
এর অর্থ- পরমব্রহ্মকে নমস্কার এবং এর সঙ্গে পতঙ্গ প্রজাপতির কোনও সম্পর্ক নেই।
মনে করা হয়, কোনও একটা সময় কেউ এই প্রজাপতির সঙ্গে পতঙ্গ প্রজাপতিকে গুলিয়ে ফেলেছিলেন। তারপর থেকেই এটা চালু হয়ে গেছে।
একটা চালু হয়ে যাওয়া রীতিকে নিয়মিত ভাবে সকলে অনুসরণ করেন বলেই অনেকে এমন মনে করেন যে, বিয়ের সঙ্গে প্রজাপতির সম্পর্ক আছে।
আবার অন্য একটি বিশ্বাস অনুযায়ী, হিন্দুদের ৮ প্রকার বিয়ের রীতি আছে। প্রজাপতি আঁকা থাকলে বা 'ওম প্রজাপত্যে নমঃ' লেখা থাকলে এটা বোঝায় এই বিয়ে প্রজাপতি মত অনুসারে হচ্ছে।