পূর্ব বর্ধমান জেলার দামোদর নদীর তীরে তেজগঞ্জ এলাকায় রয়েছে বিদ্যাসুন্দর কালী মন্দির । এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে আছে অনেক লোক কাহিনী। (ছবি: মেহরাজ সুজাতা)
সেই সময় বর্ধমান জেলার রাজা তেজচাঁদ মহতাব, যারা অন্যায় অত্যাচার করতো তাদের মায়ের এই মন্দিরে নিয়ে এসে নরবলি দিতেন। তাই তখন এই মন্দিরের মা ছিলেন দক্ষিণ মশানী কালী। (ছবি: মেহরাজ সুজাতা)
রাজকন্যা 'বিদ্যা'-র মন্দিরের মালা গাঁথতেন। সেই মালা দেখে মুগ্ধ হয়ে মন্দিরের পূজারী 'সুন্দর', মন্দিরের মধ্য দিয়ে রাজবাড়ি যাওয়ার গোপন সুড়ঙ্গ বানায়। তাঁদের দুজনের মধ্যে ভালোবাসার সম্পর্ক তৈরি হয়। ফুলের মালায় রচিত হয় প্রেমগাঁথা। একথা জানতে পেরে রাজা, বিদ্যা ও সুন্দর-কে মা কালীর মন্দিরে বলি দেওয়ার আদেশ দেন। (ছবি: মেহরাজ সুজাতা)
তাঁদের আদেশ অনুসারে বলির জন্যে মা কালীর কাছে আনা হয়। যে কাপালিক বলি দেবে , তাঁকে বিদ্যা ও সুন্দর বলে-বলির আগে একবার মন্দিরে অধিষ্ঠাত্রী মা কালীকে ডাকতে চায়। রাজি হয় কাপালিক। তাঁরা যখন মাকে ডাকছিলেন তখন কাপালিক হঠাৎ অজ্ঞান হয়ে মাটিতে পরে যায় আর বিদ্যা ও সুন্দর কোথায় মিলিয়ে যায় কেউ তার সঠিক খবর আজও জানে না।। সেই থেকেই এই মন্দির বিদ্যাসুন্দর কালী মন্দির নাম পায়। (ছবি: মেহরাজ সুজাতা)
মন্দিরে প্রতি অমাবস্যায় পাঁঠা বলি হয় । প্রতিদিন মায়ের নিত্যসেবায় আতব চালের ভোগ ও মাছ দিতে হয়। কার্তিকমাসে ধুমধামের সঙ্গে মায়ের পুজো হয়। কালী পুজোয় বিদ্যা ও সুন্দরের প্রেমকে পুর্ণতা প্রদানকারী বিদ্যাসুন্দর কালীর আরাধনায় মেতে ওঠে মন্দির চত্বর। (ছবি: মেহরাজ সুজাতা)
আগামী ১৪ নভেম্বর দুপুর ২.১৭ মিনিটে শুরু হচ্ছে অমাবস্যা এবং থাকছে ১৫ অক্টোবর বেলা ১০.৩৬ মিনিট অবধি। তাই ১৪ নভেম্বর রাতভর চলবে শ্যামা মায়ের আরাধনা। (ছবি: অনির্বাণ সিংহ রায়)