রথযাত্রা যেন ফিরল নিজস্ব ছন্দে। গোটা দেশে মহাসমারোহে পালিত হল রথযাত্রা অনুষ্ঠান। কোভিড মহামারির কারণে গত ২ বছর রথের রশি টানতে পারেননি ভক্তরা।
তবে এবার সেই অভাব পূরণ হল অনেকখানিই। পুরীর রথযাত্রা বিখ্যাত। সেই পুরীর রথ এবার আয়োজিত হল নিয়ম-নীতি মেনেই।
রথে করে আজ মাসিবাড়ি গেলেন জগন্নাথ, বলরাম, সুভদ্রা। বিভিন্ন রাজ্য থেকে সেখানে ভিড় জমান পুণ্যার্থীরা।
রথ উপলক্ষ্যে দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
এরাজ্যেও মহা সমারোহে আয়োজিত হয় রথয়াত্রা অনুষ্ঠান। কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র রথের চেনা ছবি ধরা পড়ে।
উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জেলায় রথযাত্রা হয়। আর তাতে অংশ নেন আট থেকে আশি সকলেই।
দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলাতেও রথ উৎসব হয়। হুগলির মাহেশে রথযাত্রা ঘিরে সকাল থেকে ছিল সাজো সাজো রব। সেখানেও রথের রশিতে টান দিতে আসেন ভক্তরা।
কলকাতায় ইসকনে রথযাত্রায় অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রথের রশিতে টান দেন তিনি।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সেই অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সাংসদ তথা অভিনেত্রী নুসরত জাহান।
বর্ধমানের মেমারির আমোদপুর রাজ্যের অন্যতম বড় রথযাত্রা। সেখানেও ধুমধাম সহ রথযাত্রা পালিত হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলের রথযাত্রা বিখ্যাত রথযাত্রাগুলির একটি। মেচেদা ইসকনের রথের রশিতে টান দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
গুপ্তিপাড়াতেও ঐতিহ্য মেনে রথযাত্রা পালিত হয়। এই রথের উচ্চতা ৩৬ ফুট।
এছাড়াও এই রাজ্যের প্রায় সব জায়গাতে রথযাত্রা পালিত হয়।
কোথাও কোথাও বসেছে মেলাও। সাতদিন থেকে একমাস পর্যন্ত চলবে সেই সব মেলা।