শুরু হয়েছে বাঙালির সবচেয়ে বড় পার্বণ দুর্গা পুজো। তিলোত্তমার বিভিন্ন প্রান্তর সেজে উঠেছে পুজোর আবহে। পুজোর বেশ কিছু মাস আগে থেকেই শুরু হয় যায় প্যান্ডেল তৈরি কাজ। মধ্য কলকাতার অন্যতম জনপ্রিয় পুজো মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপুট্টি দুর্গাপূজা কমিটির উদ্বোধন হল ২৭ সেপ্টেম্বর, দ্বিতীয়ার দিন।
এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন তারকা সহ বিশিষ্টজনেরা। নাচে -গানে এক দারুণ আবহে উদ্বোধন হল পুজো মণ্ডপ।
এবারের চালতাবাগান লোহাপুট্টি দুর্গাপূজা কমিটির প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন সাংসদ- অভিনেতা শত্রুঘ্ন সিনহা।
এছাড়াও হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা, কবি শ্রীজাত, সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, বিভিন্ন দেশের কনস্যুলেট জেনারেল সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রের অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা। তাঁরা প্রদীপ জ্বালিয়ে, ঢাক বাজিয়ে ধুমধাম করে সম্পন্ন করলেন উদ্বোধন অনুষ্ঠান।
ছৌ নাচ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে শুরু হয় এদিনের অনুষ্ঠান। মঞ্চে নৃত্য পরিবেশন করেছেন অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। শিরদাঁড়ায় অস্ত্রোপচারের পর এটাই তাঁর প্রথম ইভেন্ট।
গত কয়েক বছর ধরে থিম পুজোর প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছে বেশীরভাগ ক্লাবগুলি। সেরার সেরা লড়াইয়ে জোড়দার টেক্কা চলে ক্লাবে -ক্লাবে। মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপুট্টি দুর্গাপূজা কমিটির, এবারের থিম- স্থাপত্যের আদি রূপ।
চোল সাম্রাজ্য অসাধারণ শিল্প ও নির্মাণ কৌশল নিয়েই এবছরের ভাবনা চালতাবাগান লোহাপুট্টি দুর্গাপূজা কমিটির। ক্লাব কর্তৃপক্ষের মতে, "এই স্থাপত্যের নির্মাণের সঠিক কাল, সময় আমাদের জানা নেই। শুধু অনুভব করতে পারি। সে যুগে আধুনিক যন্ত্রপাতি ছিল না। তা সত্ত্বেও, সেই সময়ের মানুষ তখনকার প্রযুক্তি কীভাবে কাজে লাগিয়ে স্থাপত্য শিল্প সৃষ্টির রূপ দিয়েছে, তা আমরা এবছর তুলে ধরেছি।"
দক্ষিণ ভারতের স্থাপত্য শিল্পকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তুলেছেন শিল্পী সুতনু মাইতি। মাটির প্রতিমাকে পাথরের তৈরির আঙ্গিকে রূপদান করেছেন প্রতিমা শিল্পী বাদল চন্দ্র পাল। মূলত দক্ষিণ ভারতের বিভিন্ন মন্দিরের মূর্তির আদলেই তৈরি করা হয়েছে এই পুজো মণ্ডপের এবছরের প্রতিমা।
১৯৪৩ সালে নীতিন জয়সওয়ালের হাত ধরে একটি ছোট দোকানে শুরু হয়েছিল মানিকতলা চালতাবাগান লোহাপট্টি দুর্গাপুজো। প্রতি বছরই নতুন থিমে সেজে ওঠে মণ্ডপ। এবছর ৮০তম বর্ষে পদার্পণ করেছে এই পুজো।