চলছিল বিয়ের মরসুম। কিন্তু কাল অর্থাৎ শুক্রবার থেকে এক মাস কোনও বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না হিন্দুদের। কারণ শুরু হচ্ছে পৌষ মাস। (ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
শুধু বিয়ে নয়, বিয়ে সংক্রান্ত কোনও শুভ কাজই পৌষ মাসে এড়িয়ে চলেন বেশির ভাগ মানুষ। এমনকী বিয়ের কেনাকাটাতেও এই সময় মন্দা যায় দোকানদারদের। তবে অনেকেরই অজানা, যুগ যুগ ধরে কেন চলে আসছে এই নিয়ম। (ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
হিন্দু শাস্ত্র মতে পৌষ মাসে বিয়ে হলে কন্যা আচারভ্রষ্টা ও স্বামী বিয়োগিনী হতে পারেন। সেই কথার উল্লেখ বেণীমাধব শীলের পঞ্জিকাতেও রয়েছে।
এছাড়াও শোনা যায়, এর পিছনে থাকা আরও কিছু কারণ রয়েছে। পৌষ মাসে মানুষ নানা কাজে ব্যস্ত থাকেন৷ বিশেষত বছরের এই সময়ে ধান ও নানা ধরনের ফসল কাটা হয়৷ ধান কাটা এবং ঝাড়াই, বাছাই করে সারা বছরের জন্যে সঞ্চয় করে রাখেন চাষীরা। (ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
একটা সময় বেশিরভাগ মানুষের জীবিকাই ছিল কৃষিকাজ। ফলে পৌষ মাসে বিয়ের ব্যবস্থা করার মতো সময় পেতেন না তাঁরা ৷ সেই কথা ভেবেই পৌষ মাসে বিবাহ নিষিদ্ধ করেছিলেন সে যুগের সমাজপতিরা৷ তারপর থেকে যুগ যুগ ধরে পালন হয়ে আসছে এই নিয়ম।
শাস্ত্রে পৌষ ছাড়াও চৈত্র মাসে হিন্দুদের বিয়ের জন্য অশুভ বলে ধরা হয়। সেখানে উল্লেখ আছে, এই মাসে বিয়ে হলে কন্যা মদনোন্মক্তা হয়। (ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
বিয়ের মতো শুভ কাজে কোনও রকম ঝুঁকি নিতে চান না কেউই। তাই ধরে নেওয়া হয় চৈত্র ও পৌষ মাস বাদে বাকি ১০ মাস হিন্দুদের বিয়ের জন্যে শুভ। (ছবি সৌজন্য: ইন্সটাগ্রাম)
এই বছর পৌষ মাসে ২৯ দিন। ইংরাজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী, আগামী ১৭ ডিসেম্বর থেকে ১৪ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে পৌষ মাস।
১৩ জানুয়ারি বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে পৌষ সংক্রান্তি উৎসব। এরপর মাঘ মাসে প্রথম বিয়ের তারিখ ৮ মাঘ (২২ জানুয়ারি)।