করোনা অতিমারীর প্রভাব সর্বক্ষেত্রেই পড়েছে। এই বছর ভাটা পড়েছে মায়াপুর ইস্কনের (Mayapur ISKCON) চন্দন যাত্রা উৎসবেও। প্রতিবারের ন্যায় না আছে এবার কৃষ্ণভক্তদের ভিড়, না সেই সমারোহ।
এমনকি কোনও কমিউনিটি ভক্তদের প্রবেশও নিষেধ মন্দির চত্বরে। শুধুমাত্র পূজারী, কীর্তনের দল এবং ম্যানেজমেন্ট টিমের কিছু সদস্য উপস্থিত রয়েছেন এবারের চন্দন যাত্রায় (Chandan Yatra)।
অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে এই চন্দনযাত্রা মহোৎসব শুরু হয়। টানা ২১ দিন চলে এই উৎসব।
উৎসব চলাকালীন মন্দিরের বিগ্রহ রাধামাধব,নৃসিংহদেব ও পঞ্চতত্ত্ব সকলকে প্রতেকদিন চন্দন মাখানো হয়। আবার রাতে বিগ্রহদের শয়ন পূর্বে সেই লেপন করা চন্দন মুছে ফেলা হয়।
পুজোর মঙ্গল আরতির সময়ে চন্দন ছাড়া দর্শন করানো হয়। আবার দর্শন আরতিতে ভগবানের বিগ্রহে শীতল চন্দন মাখানো হয়। এই ভাবেই টানা ২১ দিন ইস্কনের বিগ্রহদের বিভিন্ন বেশে সাজানো হয়।
আরও একটি রীতি প্রচলিত আছে এর সঙ্গে। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে ভগবানের নৌকাবিহার অর্থাৎ বোট ফেস্টিভ্যাল করানো হয়।
ইস্কন মন্দির চত্বরে যে সমাধি জলাশয় আছে, সেখানে বিগ্রহগুলি পালকিতে করে কীর্তন সহযোগে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৈশাখ মাসের প্রচণ্ড তাপদাহে যাতে ভগবান কষ্ট না পান, অর্থাৎ ভগবানের শরীর ঠাণ্ডা রাখার জন্যেই এই চন্দন লেপন করার রীতি।
সেখানে ভগবানের নৌকাবিহার করানো হয়, অর্থাৎ নৌকা চড়ানো হয় তাঁদের। এই বিশেষ অনুষ্ঠান চলে ৭ দিন ধরে।
প্রতি বছরই মহা ধুমধাম করে পালিত হয় এই চন্দনযাত্রা উৎসব। এই বছর সেই পবিত্র উৎসবে সামিল হতে না পেরে মন খারাপ ভক্তদের।
কিন্তু এই বছর অতিমারীর জন্য কোনও দর্শনার্থী, বহিরাগত ভক্ত, এমনকি মায়াপুরের কমিউনিটি ভক্তদেরও এই উৎসবে অংশগ্রহণের অনুমতি নেই। কেবলমাত্র পূজারী ও কীর্তনিয়ারা সামিল হবেন এই উৎসবে।
সকলেরই প্রার্থনা করছেন যাতে খারাপ সময়টা খুব শীঘ্রই কেটে, ভোরের আলো ফোটে। (সমস্ত ছবি: ISKCON,সূত্রে)