করোনাকালে এবারও পুরীর রথযাত্রায় (Puri Rath Yatra 2021) সামিল হতে পারলেন না ভক্তরা। প্রথা মেনে পুজার্চনা হলেও করোনা ভাউরাসের জেরে ভিড় এড়াতে এবারেও ভক্তদের জমায়েতের ওপরে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
একইসঙ্গে পুরী ছাড়া রাজ্যের অন্য কোথাও রথ বের না করার নির্দেশও দিয়েছে প্রশাসন। পাশাপাশি পুরীর রথযাত্রার ক্ষেত্রেও রয়েছে কোভিড বিধি পালনের কড়াকড়ি।
মন্দির কর্তৃপক্ষ সহ আরও যাঁরা রথযাত্রায় অংশ নিয়েছেন তাঁদের মেনে চলতে হচ্ছে সমস্ত কোভিড প্রোটোকল। মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারের পাশাপাশি মেনে চলতে হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব বিধিও।
প্রসঙ্গত চারধামের অন্যতম হল জগন্নাথদেবের স্থান পুরী। কেউ কেউ এই স্থানকে পুরুষোত্তম পুরীও বলে থাকেন।
বলা হয়, রাধাকৃষ্ণের যুগল মূর্তির প্রতীকই হলেন জগন্নাথদেব। অর্থাৎ রাধা ও কৃষ্ণকে মিলিয়েই তৈরি হয়েছে জগন্নাথদেবের স্বরূপ। তাছাড়া শ্রীকৃষ্ণও হলেন প্রভূ জগন্নাথেরই অংশ।
ওডিশার পুরীতে প্রভূ শ্রী জগন্নাথ, সুভদ্রা ও বলভদ্রের কাঠের অর্ধনির্মিত মূর্তি রয়েছে। মূর্তিগুলি তৈরি করিয়েছিলেন মহারাজা ইন্দ্রদুম্যূন।
ভক্তদের বিশ্বাস, একবার রথযাত্রা দর্শন করলে জীবনের সমস্ত সমস্যা দূর হয়ে যায় এবং মানুষ বৈকুণ্ঠ ধামে পৌঁছে যান।
আষাঢ় মাসের শুক্ল পক্ষের দ্বিতীয়া তিথিতে সূচনা হয় রথযাত্রার। প্রথমে থাকে বলভদ্রের রথ। তারপর সুভদ্রার রথ এবং শেষে থাকে শ্রী জগন্নাথদেবের রথ।
প্রতিবছরই রথ দেখতে প্রচুর মানুষ ভিড় জমান পুরীতে। তবে গতবারের মতো এবারের ছবিটাও একেবারের ভিন্ন। করোনা পরিস্থিতিতে প্রশাসনিক নির্দেশে রথযাত্রার অংশ নিতে পারলেন না জগন্নাথদেবের আপামার ভক্তকূল।
তবে প্রত্যেকেরই প্রার্থনা প্রভূর আশীর্বাদে যেন দূর হয়ে যায় করোনা ব্যাধী। যেন আগামীবার আবারও রথের দড়িতে টান দিয়ে প্রভূ শ্রী জগন্নাথদেবের আশীর্বাদ নিতে পারেন তাঁরা।