Vastu Tips Aquarium: বাস্তু বিজ্ঞান আমাদের জীবনে অনেক প্রভাব ফেলে। বাস্তু মতে, ঘর তৈরি থেকে শুরু করে সাজসজ্জা পর্যন্ত নিয়ম না মানলে তা জীবনেও খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, বাড়িতে মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা একদিকে যেমন ঘরকে সুন্দর করে, তেমনি এটি একজন ব্যক্তির জীবনের জন্যও খুব কার্যকর হতে পারে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে বাড়িতে বা অফিসে ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম রাখা খুবই উপকারী বলে মনে করা হয়। কিন্তু আপনি কি জানেন যে আপনি এটি সঠিকভাবে রাখাও গুরুত্বপূর্ণ। যদি এটি সঠিক স্থানে এবং দিকে স্থাপন করা হয় তবে ঘরে সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
বাস্তু অনুসারে, মাছগুলো তাদের ইতিবাচক শক্তির জন্য পরিচিত এবং ট্যাঙ্কের ভিতরের জল জীবনের ইতিবাচক প্রবাহকে প্রতিনিধিত্ব করে। মাছ যখন মাছের ট্যাঙ্কে দ্রুত চলে, তখন তারা আরও ইতিবাচক শক্তির প্রচার করে। অ্যাকোয়ারিয়ামের অভ্যন্তরে প্রবাহিত জলের শব্দও ঘরে ইতিবাচক শক্তি রাখে। সেই সঙ্গে জলপ্রবাহের ফলে সম্পদ ও সমৃদ্ধিও বৃদ্ধি পায়।
বাস্তু বিজ্ঞানের মতে, শুধু মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামের দিকে তাকানো মানসিক চাপ, উদ্বেগ, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা নিরাময়ে সাহায্য করে। মাছের সৌন্দর্য মনের স্নায়ুকে শান্ত করে এবং মস্তিষ্ককে দুশ্চিন্তামুক্ত হতে সাহায্য করে।
বাস্তু অনুসারে, আপনি বাড়ির যে কোনও ঘরে বা জায়গায় মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখতে পারেন যা সম্পূর্ণ শুষ্ক। এতে করে ওই স্থানে আর্দ্রতা তৈরি হবে এবং শক্তির ভারসাম্য বজায় থাকবে।
বাস্তু মতে অ্যাকুরিয়াম ঘরের উত্তর-পূর্ব বা দক্ষিণ-পূর্ব দিকে রাখতে হবে। উত্তর-পূর্ব ঘরের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতাকে প্রভাবিত করে, দক্ষিণ-পূর্ব বাড়ি এবং অফিসের সুখ, শান্তি এবং সমৃদ্ধির প্রতিনিধিত্ব করে। আপনি যদি বাড়ির উত্তর বা পূর্ব দিকে একটি মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখেন তবে এটি খুব শুভ ফল দেয়। এতে জীবনে সাফল্য, উন্নতি, একাগ্রতা এবং পারিবারিক শান্তি বৃদ্ধি পায়।
বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে, ফিশ অ্যাকোয়ারিয়াম সবসময় বসার ঘরে বা ড্রয়িং রুমে রাখা উচিত। এই দুটি হল বাড়ির কেন্দ্রীয় অংশ যা বাড়ির সমস্ত এলাকা একে অপরের সাথে সংযুক্ত করে। তাই এখানে মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম রাখলে ঘরে ইতিবাচক শক্তি বজায় থাকে।
বাস্তু অনুসারে, আপনার অ্যাকোয়ারিয়ামের কোনও মাছ মারা গেলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সরিয়ে ফেলুন এবং ফিশ ট্যাঙ্কে তার জায়গায় একটি নতুন মাছ রাখুন। অ্যাকোয়ারিয়ামে কোনও প্রকার ময়লা থাকতে দেবেন না।
আরও পড়ুন: গুগল পে ১ মিনিটে দেবে ১ লক্ষ টাকার পার্সোনাল লোন, রইল পদ্ধতি
বাস্তু অনুসারে, অ্যাকোয়ারিয়ামে সর্বদা কমপক্ষে ৯টি মাছ থাকা উচিত। এর মধ্যে ৪টি একই রকম এবং কিছু ভিন্ন রঙের হতে পারে। এছাড়াও একটি ড্রাগন মাছ থাকতে হবে। ৯টি মাছের এই সংমিশ্রণটি বাড়ির মানুষের জীবনে ধন-সম্পদ ও সাফল্য বৃদ্ধি করে। বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে সোনার মাছ রাখাও শুভ বলে মনে করা হয়। এতে করে সুখ, সমৃদ্ধি ও সম্পদ বৃদ্ধি পায়। রঙিন মাছ বাস্তু দোষ দূর করে এবং চারপাশের নেতিবাচক শক্তি কমাতে সাহায্য করে।
বাস্তু অনুসারে, রান্নাঘরে কখনই মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম স্থাপন করা উচিত নয়। কারণ আগুনের উপাদান রান্নাঘরে থাকে এবং মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম জলের প্রতীক। বলা হয়ে থাকে যে একই জায়গায় আগুন এবং জলের উপাদানের উপস্থিতি বাড়িতে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
আরও পড়ুন: আসছে ভোট, বাঁশবেড়িয়ায় দেওয়াল বাঁটুল-ছোটা ভীমদের দখলে
আরও পড়ুন: WhatsApp-এ ভুলেও এই কাজ নয়, হতে পারে জেল
আরও পড়ুন: মিনারেল ডেভলপমেন্ট কর্পোরেশনে মোটা মাইনের একগুচ্ছ চাকরি, রইল যোগ্যতা সহ বিস্তারিত
পাঁচটি উপাদানই মাছের অ্যাকোয়ারিয়ামের ভিতরে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থায় থাকে। যখন এই পাঁচটি উপাদান একে অপরের সাথে মিশে তখন তারা শক্তি প্রবাহ তৈরি করে। তাই বলা হয় যে বাড়িতে মাছের অ্যাকোয়ারিয়াম সঠিক পথে রাখলে শুভ ফল পাওয়া যায়।