Dhanteras 2025: সোনা-রুপোর তো অনেক দাম, ধনতেরাসে বিকল্প কী কিনলে আর্থিক উন্নতি হবেই?

কার্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের ত্রয়োদশ দিনে উদযাপিত ধনতেরাস হল দীপাবলি উৎসবের প্রথম দিন। এই দিনটি সম্পদ, স্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধির দেবী লক্ষ্মী এবং আরোগ্যের দেবতা ধন্বন্তরীকে উৎসর্গ করা হয়। শাস্ত্র অনুসারে, এই দিনে শুভ জিনিসপত্র ক্রয় করলে সারা বছর ঘরে ইতিবাচক শক্তি এবং সমৃদ্ধি বজায় থাকে।
 

সোনা ও রুপো
দীপাবলির প্রথম দিনে ধনতেরাস উৎসব পালিত হয়। ধনতেরাসে ভগবান ধন্বন্তরীকে পুজো করা এবং সোনা বা রুপো কেনা অত্যন্ত শুভ বলে মনে করা হয়। সোনা ও রুপো দেবী লক্ষ্মী এবং কুবেরের প্রিয়। সোনা সম্পদ এবং স্থায়িত্বের প্রতীক, অন্যদিকে রুপো পবিত্রতা এবং সৌভাগ্যের প্রতীক। এই দিনে বাড়িতে এই ধাতুগুলি রাখলে আর্থিক সমৃদ্ধি এবং সম্পদ আসবে বলে আশা করা হয়।
 

ঝাড়ু
হিন্দু বিশ্বাস অনুসারে, দেবী লক্ষ্মী ঝাড়ুর মধ্যে বাস করেন। তাই, ধনতেরাসে নতুন ঝাড়ু কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। ঝাড়ু ঘরের পরিচ্ছন্নতা এবং পবিত্রতার প্রতীক এবং এটি লক্ষ্মীর প্রতীক হিসেবেও বিবেচিত হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুযায়ী, নতুন ঝাড়ু ঘর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে এবং দেবী লক্ষ্মীর আগমনকে সহজ করে তোলে। তাই, ধনতেরাসে ঝাড়ু কিনে একটি বিশেষ রীতি অনুসরণ করে ঘর পরিষ্কার করার রীতি রয়েছে।
 

ধাতব বাসনপত্র
ধনতেরাসে বাসনপত্র কেনার একটি ঐতিহ্য রয়েছে। ধনতেরাসকে ধন্বন্তরী ত্রয়োদশীও বলা হয় কারণ এই দিনে ভগবান ধন্বন্তরী অমৃতের পাত্র নিয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই, তামা, পিতল, রূপা বা ইস্পাত দিয়ে তৈরি নতুন বাসন কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, এই বাসনগুলিকে স্বাস্থ্য, দীর্ঘায়ু এবং পারিবারিক সুখের সূচক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। নতুন রান্নাঘরের জিনিসপত্র বাড়িতে সমৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।
 

ধনে
ধনতেরাসে ধনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ধনেকে সম্পদের বীজও বলা হয়। তাই, ধনতেরাসে শুকনো ধনে কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি সংরক্ষণ করলে সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেক জায়গায়, পুজোয় ধনে রাখা এবং পরের দিন সকালে তা পুঁতে দেওয়া শুভ বলে মনে করা হয়, যা অন্নপূর্ণা এবং লক্ষ্মী উভয়ের আশীর্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখে।
ধনতেরাসে ধনের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ধনেকে সম্পদের বীজও বলা হয়। তাই, ধনতেরাসে শুকনো ধনে কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। এটি সংরক্ষণ করলে সমৃদ্ধি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আসে বলে বিশ্বাস করা হয়। অনেক জায়গায়, পুজোয় ধনে রাখা এবং পরের দিন সকালে তা পুঁতে দেওয়া শুভ বলে মনে করা হয়, যা অন্নপূর্ণা এবং লক্ষ্মী উভয়ের আশীর্বাদ অক্ষুণ্ণ রাখে।

প্রদীপ
ধনতেরাস পাঁচ দিনের আলোর উৎসবের সূচনা করে। ধনতেরাস হল দীপাবলির প্রথম দিন। ধনতেরাসের সন্ধেয় প্রদীপ জ্বালানোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে, তাই মাটির প্রদীপ এবং অন্যান্য ধরণের প্রদীপ কেনা শুভ বলে মনে করা হয়। প্রদীপ জ্বালালে অন্ধকার ও নেতিবাচক শক্তি দূর হয় এবং অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মাটির প্রদীপ, তেল/ঘি প্রদীপ এবং অন্যান্য শুভ প্রদীপ কিনে সন্ধেয় মন্দিরে এবং বাড়ির প্রবেশপথে জ্বালানো শুভ এবং ফলপ্রসূ বলে বিবেচিত হয়। লোককাহিনী অনুসারে, নতুন বাতি কেনা আলো এবং সৌভাগ্য নিয়ে আসে।

 

লক্ষ্মী-গণেশ মূর্তি
দীপাবলিতে লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ধনতেরাস থেকে লক্ষ্মী-গণেশ পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়। এই দিনে নতুন লক্ষ্মী-গণেশ মূর্তি কেনা এবং বাড়িতে আনা শুভ বলে মনে করা হয়। এই মূর্তিগুলির স্থাপন এবং পুজো ঘরে সুখ, শান্তি, সম্পদ এবং জ্ঞানের আগমনের ইঙ্গিত দেয়।