
জ্যোতিষীদের মতে, নতুন বছর অনেক দিক থেকেই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। এই বছর একটি উল্লেখযোগ্য কাকতালীয় ঘটনা ঘটতে চলেছে। ১২ মাসের পরিবর্তে হবে ১৩ মাস। এর অর্থ হল ২০৮৩ সালের বিক্রম সংবতে একটি অতিরিক্ত চন্দ্র মাস যোগ হবে। ফলস্বরূপ ২০২৬ সালে জৈষ্ঠ্য মাসে একটি অধিক মাস আসবে। এই বিরল পরিস্থিতির কারণে জৈষ্ঠ্য মাস প্রায় ৬০ দিন স্থায়ী হতে চলেছে। ফলে এই বছর হবে মোট ১৩ মাসের।
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, চন্দ্র ক্যালেন্ডার এবং সৌর ক্যালেন্ডারের গণনার মধ্যে অমিল থাকলে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, অধিক মাসের সময়কাল অত্যন্ত পবিত্র বলে বিবেচিত হয়। তবে এই সময়ের মধ্যে একটি ছোট ভুলও একজন ব্যক্তির পুরো বছরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নতুন বছরে সুখ আনতে এই সময়ে কিছু বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত।
২০২৬ সালের অধিক মাস কখন শুরু হবে?
দ্রিক পঞ্জিকা অনুসারে, ২০২৬ সালের জৈষ্ঠ্য মাস ২২ মে থেকে শুরু হয়ে ২৯ জুন পর্যন্ত চলবে। এর আগে অতিরিক্ত মাস ১৭ মে তারিখে শুরু হবে এবং ১৫ জুন পর্যন্ত চলবে। যখন একই মাস ক্যালেন্ডারে দু'বার দেখা যায় তখন তাকে পুরুষোত্তম মাস বলা হয়। এই সময়টিকে অত্যন্ত বিশেষ এবং ধর্মীয় ভাবে শুভ বলে মনে করা হয়।
২০২৬ সালের অধিক মাস কী?
চন্দ্র ও সৌর গণনার মধ্যে পর্যায়ক্রমিক অসঙ্গতির ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য ক্যালেন্ডারে একটি অতিরিক্ত মাস যোগ করা হয়। প্রতি ৩২ মাসে প্রায় ১৬ দিন এবং কয়েক ঘণ্টা যোগ করে একটি পূর্ণ মাস তৈরি হয়। এই অতিরিক্ত সময়কে সনাতন ধর্মে একটি অতিরিক্ত মাস বলা হয়।
অধিক মাসে কী কী করবেন?
> প্রতিদিন সকালে ঘরে একটি প্রদীপ জ্বালান। অধিকমাসের সময়ে তুলসীর কাছে বা ভগবান বিষ্ণুর সামনে প্রতিদিন সরিষার তেল বা ঘি প্রদীপ জ্বালান। এটি আপনার বাড়ির পরিবেশকে পবিত্র, শান্ত এবং ইতিবাচক রাখবে।
> পাখিদের খাওয়ানো এবং জল দিন। অধিকমাসের সময়ে একটি মাটির পাত্রে জল ভরে ছাদ বা বারান্দায় শস্য রাখুন। অধিকমাসের সময় পাখিদের সেবা করা অত্যন্ত পুণ্যের কাজ বলে মনে করা হয়।
> অভাবীদের খাওয়ানো উচিত। এই সময়ে দরিদ্র, শ্রমিক বা অভাবীদের খাওয়ান। এটিকে দানের সর্বোত্তম রূপ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।