
আচার্য চাণক্য মহান বিদ্যান মানুষ ছিলেন। তাঁর কূটনৈতিক বুদ্ধিও সর্বজনবিদিত। তবে এই মহান মানুষটি শুরু রাজনীতির মারপ্যাঁচেই সীমিত ছিলেন না। পাশাপাশি উনি জীবনের কিছু বিষয় নিয়েও নানা সময় কথা বলেছেন। তাঁর কথায় উঠে এসেছে ব্যবহার, সম্পর্ক থেকে জীবনের নীতির মতো বিষয়গুলি।
আচার্য চাণক্যের মতে, রাগ মানুষের জীবনের সবথেকে বড় শত্রু। মাথা গরম করে কিছু মানুষ এমন কাজ করে ফেলেন, যার জন্য অনেকটা সময় পস্তাতে হয়। এমনকী ঘাড়ে বয়ে বেড়াতে হয় সমস্যা। তাই চাণক্য এমন ৩টি পরিস্থিতির কথা বলেছেন, যেখানে রাগ করা একবারেই উচিত নয়।
বাচ্চারা ভুল করলে
অনেকেই বাচ্চা ভুল করলে তার উপর রাগ দেখান। তাকে মারধর করেন। তবে এই ভুলটা করা চলবে না। চাণক্য নীতি অনুসারে বাচ্চার উপর উপর রাগ করলে চলব না। বরং তাকে ভালোবেসে বোঝাতে হবে। আপনি রাগ করে তাকে কিছু বললে আদতে তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। শুধু তাই নয়, এই কারণে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের দূরত্ব বেড়ে যেতে পারে। তাই শান্ত হয়ে ছোট্ট সোনাকে বোঝান। তাহলেই দেখবেন সন্তান আপনার কথা শুনবে। সে আর ভুল করবে না।
বড়রা কিছু বললে
অনেকেই মনে করেন, আমরা বড় হয়ে গিয়েছি। এখন আর কারও কথা শোনার দরকার নেই। বড়রা ফালতু জ্ঞান দিচ্ছে। তাই বড়রা কিছু বললেই মাথা গরম করে বসেন। তাদের নানা কথা শুনিয়ে দেন। তবে চাণক্যের মতে, বড়দের কাছে জীবনের অভিজ্ঞতা রয়েছে। তাই তাদের অনুভবের সম্মান করতে হবে। ওনাদের বক্তব্যের পিছনে আপনাকে বোঝানোর চেষ্টাই রয়েছে। মাথা গরম করলে শুধু সম্পর্ক খারাপ হবে না, সেই সঙ্গে আপনি গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শ পাওয়া থেকেও পিছিয়ে যাবেন।
বিপরীত পরিস্থিতিতে
সময় সবসময় আপনার সঙ্গে থাকবে না। তবে বিপরীত পরিস্থিতিতে রাগ করলেও চলবে না। এই সময় রাগ করলে আদতে আরও বেশি ক্ষতি হতে পারে। তাই চাণক্য নীতি মনে করে, ক্রোধের বশে সমস্যা বাড়ে। পাশাপাশি রাগ করলে আপনার মন জটিল সমস্যা মেটাতে পারে না। বরং জটিলতা আরও বাড়তে পারে। তাই এই সময় ধৈর্য ধরুন। তাহলেই পরিস্থিতি অনুকূলে আনতে পারবেন।
তাই চেষ্টা করুন যতদূর সম্ভব এই সব নীতি মেনে চলার। এই ৩টি পরিস্থিতিতে রাগ না করার।