ভারতীয় শাস্ত্রের সর্বকালের সেরা পণ্ডিতদের মধ্যে অন্যতম হিসাবে গন্য করা হয় আচার্য চাণক্যকে। প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দার্শনিক এবং অর্থনীতিবিদ চাণক্য। চাণক্য 'আর্থশাস্ত্র' রচনা করেছিলেন। এই কারণে, তিনি কৌটিল্যা নামে পরিচিত হন। মানব জীবনকে প্রভাবিত করতে পারে এমন প্রতিটি বিষয় খুব গভীর ভাবে অধ্যয়ন করেছিলেন তিনি। এই কারণেই চন্দ্রগুপ্ত মৌর্যের উপদেষ্টা চাণক্যের নীতিগুলি আজও প্রাসঙ্গিক।
শাস্ত্রজ্ঞ বিদ্বানরা এ কথা বিশ্বাস করেন, যে কোনও বিপর্যয়েও অবিচল থাকার শক্তি ও শিক্ষা মেলে আচার্য চাণক্যের এই দর্শন থেকে। শাস্ত্রজ্ঞ পণ্ডিতদের মতে, যে সকল ব্যক্তি আচার্য চাণক্যের নীতি নিয়মিত অধ্যয়ন করেন, যাঁরা চাণক্যের জীবন দর্শন আত্মস্থ করতে পেরেছেন, তাঁদের জীবন থেকে দুঃখ-দুর্দশা সহজেই দূর হয়।
Chanakya Niti: খ্যাতি, সম্মান, শ্রদ্ধা অর্জনের চাবিকাঠি
আচার্য চাণক্য বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। একজন মহান পণ্ডিত হওয়ার পাশাপাশি তিনি দক্ষ কূটনীতিক হিসাবেও বিবেচিত হন। চাণক্যের নীতিশাস্ত্র জীবন সম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা এবং তার সমাধানগুলিতে আলোকপাত করে। চাণক্যের নীতিগুলি জীবনকে সফল করে তুলতে এবং আরও উন্নত জীবন যাপনের অনুপ্রেরণা দেয়। এই নীতিমালায়, বিবাহ প্রসঙ্গে কতগুলি বিচার্য বিষয় সম্পর্কে আচার্য চাণক্যের মতামত তুলে ধরা হল। এই প্রবন্ধে বিবাহের জন্য কেমন নারী উপযুক্ত, সে বিষয়ে আচার্য চাণক্যের মতামত এবং নির্দেশগুলি তুলে ধরা হল...
Chanakya Niti: আহার ব্যক্তির চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করে
বিবাহের ক্ষেত্রে নারীর রূপ তেমন গুরুত্বপূর্ণ নয় বলেই মনে করতেন আচার্য চাণক্য। তাঁর মতে, রূপ নয়, নারীর অন্তরের সন্ধান নিতে হবে। যাঁর অন্তরাত্মা সুন্দর, তিনিই বিবাহের ক্ষেত্রে সুযোগ্য পাত্রী।
সুন্দরী অথচ ছায়াচ্ছন্ন বা রহস্যময়ী নারীর সংসর্গ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়েছেন আচার্য চাণক্য। তাঁর মতে, বিবাহের জন্য সুন্দরী অথচ ছায়াচ্ছন্ন বা রহস্যময়ী নারীরা উপযুক্ত পাত্রী নন।
নারীর রূঢ়ভাষণ একেবারেই পছন্দ নয় চাণক্যের। বিবাহের ক্ষেত্রে কটূভাষী নারীর থেকে দূরে থাকতেই পরামর্শ দিয়েছেন আচার্য চাণক্য।
হবু স্ত্রীর সত্যবাদিতা, বিশ্বাসযোগ্যতা সম্পর্কে সুনিশ্চিত হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চাণক্য। তবে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সত্যবাদিতা, বিশ্বাসযোগ্যতা পুরুষ-নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।