Diwali Shaligram Puja: সোমবার দীপাবলি। ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে এই দিন অযোধ্যায় ফিরেছিলেন রাম। তাঁর ফেরার খুশিতে প্রদীপ জ্বালিয়ে উদযাপন করেছিলেন অওয়ধবাসী। দীপাবলিতে অর্থভাগ্যের জন্য লক্ষ্মী ও গণেশের পুজো করা হয়। সেই সঙ্গে এই দিন তুলসীর পুজো করার রীতিও রয়েছে। বাস্তুশাস্ত্রেই রয়েছে তুলসীর নানা প্রতিকার। সনাতন ধর্মে তুলসীকে দেবীর মর্যাদা দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি ঘরে তুলসী গাছ থাকে। দেবীজ্ঞানে পুজো করা হয়। তুলসী থেকে আসে ইতিবাচক শক্তি। তুলসীতে বাস করেন বিষ্ণু ও লক্ষ্মী। তুলসী পুজো করলে তাই আর্থিক লাভও হয়। আর তুলসী মা লক্ষ্মীর রূপ। আর শালগ্রাম বিষ্ণুর। রাম নারায়ণেরই অবতার। তাই দীপাবলিতে তুলসীর সঙ্গে শালগ্রাম পুজো করলে আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারবেন। সেজন্য তুলসীর পাশেই রাখুন শালগ্রাম শিলা.
- বাস্তু শাস্ত্র বলছে, বাড়ির উত্তর, উত্তর-পূর্ব ও পূর্ব দিকে তুলসী গাছ রাখলে সমৃদ্ধি আসে। বাস্তুশাস্ত্র মতে,তুলসী গাছের নীচে একটি শালগ্রাম শিলা রাখলে পরিবারের সদস্যদের ভাগ্যোদয় হয়। শালগ্রামকে বিষ্ণুর রূপ বলে বিশ্বাস করেন সনাতনীরা। তাই দীপাবলিতে তুলসী ও শালগ্রামের একসঙ্গে পুজো করুন। প্রভূত লাভ পাবেন।
- শালগ্রামকে ভগবান বিষ্ণুর রূপ বলে মনে করা হয়। কালো রঙের গোলাকার মসৃণ শালগ্রাম তুলসীর সঙ্গে এক জায়গায় রাখলে শুভ ফল মেলে।
চটপট জেনে নিন শালগ্রাম পুজোর নিয়মকানুন-
-শাস্ত্রে বলা হয়েছে শালগ্রাম স্বয়ম্ভূ। তাই পুজো করার জন্য প্রাণপ্রতিষ্ঠার দরকার নেই। বাড়িতে শালগ্রাম শিলা থাকলে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখুন। অপরিচ্ছন্ন স্থানে পুজোর ফল মেলে না। ঘরে অশান্তি হয় বিস্তর।
- লক্ষ্মীপুজোর মতো শালগ্রামের পুজোয় ভুল করেও ধানের শিস ব্যবহার করবেন না। চাল নিবেদন করলেও হলুদ দিয়ে দিন।
- শালগ্রামকে বিরাট শক্তির উৎস বলে মনে করা হয়। ঘরে রাখলে ইতিবাচক শক্তি আসে। পুজোর সময় যদি সামান্য অপবিত্রতা থাকে, তাহলে ঘরে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। আর্থিক অনটন দেখা দেয়।
-বাড়িতে তুলসীর পাত্রেই শালগ্রাম রেখে পুজো করুন। শালগ্রামের পুজো নিয়মিত করতে হয়। মনে করা হয়, শালগ্রামে নিয়মিত তুলসী পাতা নিবেদন করা শুভ। তাই দীপাবলি থেকে পুজো করা শুরু করলেও সারাবছর রেখে দিতে পারেন। প্রতিদিন পুজো করুন।
- শাস্ত্রে বলা হয়েছে শালগ্রাম কখনও কোনও বিবাহিত ব্যক্তিকে নেওয়া বা দেওয়া উচিত নয়। শালগ্রাম কোনও ঋষির কাছ থেকে উপহার হিসেবে নেওয়া উচিৎ। অন্যথায় শুভ ফল মেলে না।
আরও পড়ুন- কুবেরের মতো হন এই তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা, ব্যবসা করলেই লাভ