অনেক উৎসবের মধ্যে সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল (Dol Yatra) বা হোলি (Holi)। শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষের বেশির ভাগ স্থানেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। সাধারণত ফাল্গুন মাসেই হয় দোল উৎসব। জেনে নিন এবছরের দোল পূর্ণিমার দিনক্ষণ।
রঙের উৎসবে (Festival Of Colours) কম বেশি সামিল হন সকলেই। আর এই বিশেষ দিন উপলক্ষে বিভিন্ন জায়গায় পুজোও হয়। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। এদিনই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর (Shri Chaitanya Mahaprabhu) জন্মতিথি বলে জানা যায়। বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের (Radha- Krishna) পুজো করা হয় বিশেষত।
বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেজন্যে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন।
আবার শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বসন্ত উৎসব (Santiniketan Basanta Utsav) চালু করেছিলেন। এছাড়াও মায়াপুর, নিমদিহি, মদন মোহন মন্দির (বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে অবস্থিত) সহ পশ্চিমবঙ্গের আরও একাধিক স্থানে দোল পূর্ণিমা পালন হয় ধূমধাম করে। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই।
দোল ও হোলির তারিখ (Dol Yatra & Holi Date)
এই বছর দোলযাত্রা পড়েছে ১৮ মার্চ (বাংলায় ৩ চৈত্র)। এই দিনটিকে বসন্ত উৎসবও বলা হয়। হোলি সাধারণত দোলের পরের দিন পালিত হয়। তবে এবছর দোলযাত্রা ও হোলি একই দিনে পড়েছে।
দোল পূর্ণিমার সময় (Dol Purnima Timing)
১৭ মার্চ দুপুর ১:১৬ মিনিট থেকে ১৮ মার্চ দুপুর ১:০৭ মিনিট পর্যন্ত এই বছর পূর্ণিমা থাকবে।
দোল উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত মথুরা ও রাধার জন্মস্থান বৃন্দাবনে প্রায় ১৬ দিন ধরে বিশেষ উৎসব পালিত হয়। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী আরও একাধিক স্থানে সকলে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।