Advertisement

Dolyatra 2022: নবদ্বীপ থেকে নিমদিহি, বাংলার এই স্থানগুলিতে সবচেয়ে জনপ্রিয় দোল -বসন্ত উৎসব

Dolyatra- Basanta Utsav 2022: শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষের বেশির ভাগ স্থানেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়। কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব, তো কোথাও হয় রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো।

পশ্চিমবঙ্গের দোল উৎসব উদযাপন (ছবি: পিটিআই)
Aajtak Bangla
  • কলকাতা ,
  • 16 Mar 2022,
  • अपडेटेड 10:06 PM IST

বাঙালির বারো মাসে তের পার্বণ (Festivals)। তবে অনেক উৎসবগুলির মধ্যে সকলের পছন্দের তালিকায় প্রথমের দিকেই থাকে দোল (Dol Yatra) বা হোলি (Holi)।  তবে শুধু বাঙালি নয়, ভারতবর্ষের বেশির ভাগ স্থানেই রঙের উৎসব পালন করা হয় মহা সমারোহে। গত দু'বছর করোনা অতিমারীতে কিছুটা ছন্দপতন ঘটেছিল রং খেলায়। তবে এখন পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক। 

এবার দোল উৎসব (Dol Utsav) পালিত হবে আগামী ১৮ মার্চ। রঙের উৎসবে কম বেশি সামিল হন সকলেই। তবু পশ্চিমবাংলায় এই দোলের মাহাত্ম্য একেবারে অন্যরকম। দোল পূর্ণিমা হিন্দু ধর্মের জন্যে খুব শুভ বলে মনে করা হয়।কোথাও পালন হয় বসন্ত উৎসব (Basanta Utsav), তো কোথাও হয় রাধা- কৃষ্ণের বিশেষ পুজো। জেনে নিন বাংলার (West Bengal) কোন স্থানগুলি এই উৎসবের জন্যে বিশেষভাবে পরিচিত। 

আরও পড়ুন: হোলিতে এই রাশির জাতকদের ভাগ্য উজ্জ্বল! আপনার সময় কেমন?

 

* শান্তিনিকেতন (Santiniketan)

শান্তিনিকেতনে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (Rabindranath Tagore) বসন্ত উৎসব চালু করেছিলেন। তাই রঙিন এই উৎসবের দিকে মুখিয়ে থাকেন অনেকেই। সমগ্র শান্তিনিকেতনবাসী তো বটেই, সেই সঙ্গে বিশেষ উৎসব হয় কবিগুরুর বিশ্বভারতীতে। আগের দিন রাতে ও বসন্ত উৎসবের দিন সকালে বৈতালিক হয়। এরপর ধীরে ধীরে বিশ্বভারতীর ছাত্র-ছাত্রীরা কাঠি নাচ ও বসন্তের গানে-নাচে উদযাপন করেন ঋতুরাজ বসন্তকে। মহিলারা পরেন হলুদ শাড়ি ও পুরুষেরা সাদা পাজামা-পঞ্জাবি। গলায় থাকে উত্তরীয়। আবিরের রঙে আরও বেশি করে রঙিন হয়ে ওঠে রাঙা মাটির দেশ। প্রতি বছর এই বসন্ত উৎসবের টানে এখানে ভিড় জমান লক্ষাধিক লক্ষাধিক ট্যুরিস্ট। যদিও গত প্রায় তিন বছর ধরে বিশ্বভারতীর বসন্ত উৎসব হচ্ছে শুধুমাত্র নিয়ম রক্ষার্থে। 

Advertisement

 

* নবদ্বীপ (Nabadwip)

এই দিনই শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভুর জন্মতিথি বলে জানা যায়। বিশেষ উৎসব পালিত হয় হিন্দু বঙ্গ সমাজে। সর্বত্র শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু ও রাধা- কৃষ্ণের পুজো করা হয় বিশেষত। বৈষ্ণব বিশ্বাস অনুযায়ী, দোল পূর্ণিমার দিন বৃন্দাবনে শ্রীকৃষ্ণ আবির নিয়ে রাধিকা ও অন্যান্য গোপীনীদের সঙ্গে রং খেলায় মেতেছিলেন। সেই জন্যে নবদ্বীপেও আয়োজন করা হয় বিশেষ দোল উৎসবের। আবির খেলায় মেতে ওঠেন সকলে। নদীয়া জেলার এই পবিত্র স্থানেও ট্যুরিস্ট ও পুণ্যার্থীরা হাজির হন। 

 

* মায়াপুর (Mayapur) 

পবিত্র মায়াপুরের ইস্কনের মন্দিরে দেশ-বিদেশের থেকে লোকেরা আসেন দোল উৎসবে। প্রায় একমাস আগে থেকে চলে এখানে প্রস্তুতি। কৃষ্ণপ্রেমী বিদেশীরাও রঙের উৎসবে সামিল হল আনন্দ ও নিষ্ঠার সঙ্গে। 

আরও পড়ুন: বাড়ির কোন দিকে রাখবেন তুলসী গাছ? সুখ-সমৃদ্ধি বজায় রাখতে মেনে চলুন এই নিয়মগুলি

 

 

* নিমদিহি (Nimdih)

পুরুলিয়া জেলার নিমদিহিতে দোলের সময়ে বিশেষ লোক উৎসব হয়। স্থানীয়দের সঙ্গে আগত ট্যুরিস্টরা লোকশিল্প উপভোগ করতে পারেন এই সময়ে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছৌ নাচ, দরবারি ঝুমুর, নাটুয়া নাচ, বাউল গান। মূলত বসন্তকেই উদযাপন করা হয় এই সময়ে। 

* মদন মোহন মন্দির (Madan Mohan Temple)

বাঁকুড়া জেলার বিষ্ণুপুরে মদনমোহন মন্দিরটি এই অঞ্চলে সবচেয়ে সুপরিচিত। ১৬০০ খ্রীস্টাব্দের শেষ দিকে রাজা রাজা দুর্জান সিং দেব এই মন্দিরের নির্মাণ করেছিলেন। হিন্দু ধর্মীয় বই, রামায়ণ এবং মহাভারত ইত্যাদি মন্দিরের দেয়ালগুলিতে খোদাই করা আছে।  শ্রীকৃষ্ণ ও রাধাকে সম্মান জানাতে এই মন্দির তৈরি হয়েছিল। তাই প্রতি বছর দোলযাত্রায় এখানে বিশেষ উৎসব পালিত হয়। 

 

আরও পড়ুন: হোলিতে রাশি অনুযায়ী করুন এই প্রতিকারগুলি! যে কোনোও সমস্যা থেকে মুক্তি মিলবে

এই স্থানগুলি ছাড়াও পশ্চিমবাংলার আরও বিভিন্ন স্থানে সকলে বিশেষ ভাবে উদযাপন করেন দোলযাত্রা বা বসন্ত উৎসব। দোল উপলক্ষে শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমি হিসেবে পরিচিত মথুরা ও রাধার জন্মস্থান বৃন্দাবনে প্রায় ১৬ দিন ধরে বিশেষ  উৎসব পালিত হয়। সেই সঙ্গে দেশব্যাপী আরও একাধিক স্থানে সকলে মেতে ওঠেন রঙের উৎসবে।  

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement