সনাতন ধর্মে তুলসী গাছকে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। তুলসী ছাড়া বিষ্ণুর পুজো সম্পূর্ণ হয় না। বিশ্বাস করা হয় যে এতে দেবী লক্ষ্মী বাস করেন। প্রতিদিন তুলসীকে জল দেওয়া এবং সকাল-সন্ধ্যা একটি প্রদীপ জ্বালালে জীবনে সৌভাগ্য আসে বলে লোকবিশ্বাস। এছাড়া তুলসীর শুকনো পাতারও অনেক গুরুত্ব রয়েছে।
তুলসীর গুরুত্ব শুধু শাস্ত্রেই বলা হয়নি, আয়ুর্বেদেও তুলসীকে অমৃতের মতো বলা হয়েছে। প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা তুলসী গাছের নিচে প্রদীপ জ্বালানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়। আসুন জেনে নিই শুকনো তুলসী পাতার অলৌকিক উপকারিতা।
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, তুলসীর শুকনো পাতাও শ্রীকৃষ্ণের খুব প্রিয়। শ্রী কৃষ্ণের ভোগের জন্য একটি তুলসী পাতা ১৫ দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যেতে পারে।
শ্রীকৃষ্ণের শিশুরূপকে স্নান করার সময় তুলসীর শুকনো পাতা জলে রেখে দিতে পারেন। এছাড়া নিজের স্নানের জলেও শুকনো তুলসী পাতাও দিতে পারেন। মনে করা হয় যে এটি শরীর থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর করে।
বিশ্বাস অনুযায়ী, তুলসীর শুকনো পাতা লাল কাপড়ে রেখে আলমারি বা সিন্দুকে রাখলে মা লক্ষ্মীর কৃপা মেলে। অর্থনৈতিক অগ্রগতিও হয়।
গঙ্গার জলে তুলসীর শুকনো পাতা রেখে ঘরে স্প্রে করলে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়। সেই সঙ্গে ঘরে সুখশান্তি থাকে।
তুলসী কোথায় রাখবেন?
- তুলসী গাছ পবিত্র। শুধুমাত্র ধর্মীয় কারণেই নয় ওষুধও তুলসী। চারা মাটিতে রোপন করবেন না। পরিষ্কার টব, পাত্র বা বালতিতে রাখুন। বাড়ির ছাদেও তুলসী রাখা অনুচিত।
- অন্ধকার জায়গায় তুলসী গাছ লাগানো উচিত নয়। ছড়িয়ে পড়ে নেতিবাচকতা।
- তুলসী গাছের পাশে কাঁটাযুক্ত গাছ রাখবেন না।
- ছাদেও তুলসী গাছ লাগানো উচিত নয়। পর্যাপ্ত পরিচর্যা করা যায় না। শুকিয়ে যেতে পারে।
- তুলসী গাছকে ভুলেও শিব এবং গণেশের মূর্তির সঙ্গে রাখবেন না। তুলসীতলায় শিব মূর্তি রাখলে কুপিত হন ভোলেবাবা।
আরও পড়ুন- মর্জির মালিক মাসের এই ৩ তারিখে জন্মানো ব্যক্তিরা, রাহুর কৃপায় হন বড়লোক