ভারত ঈদ-উল-ফিতর (Eid-ul-Fitr) উদযাপন হবে আগামী শুক্রবার (১৪ মে)। মঙ্গলবার রাতে সৌদি আরবে (Saudi Arab) ঈদের (Eid) চাঁদ দেখা যায়নি। তাই সৌদি আরবের চাঁদ-দর্শন কমিটি ঘোষণা করেছে একথা। আরবে ঈদ পালন হবে বৃহস্পতিবার এবং ভারতে তার একদিন পরে অর্থাৎ শুক্রবার।
একমাসব্যাপী পবিত্র রমজান মাস পালনের পর আসে মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব খুশীর ঈদ বা ঈদ-উল-ফিতর। এই উৎসব 'মিঠি ইদ' নামেও পরিচিত। ইসলামী ক্যালেন্ডার (হিজরি) অনুযায়ী নবম মাসটি হল রমজান মাস। আর দশম মাস অর্থাৎ শাওয়ালের প্রথম দিনটি বিশ্বব্যাপী উদযাপিত হয় ঈদ।
ইসলামী বিশ্বাস অনুসারে, যারা সৎ উদ্দেশ্য প্রার্থনা এবং উপবাস করেন, ঈশ্বর তাঁর ভক্তদের অতীতের পাপকে ক্ষমা করেন। দিনটি পবিত্র নবী হজরত মোহাম্মদ (Hazrat Muhammad) যেদিন পবিত্র কোরানের প্রথম প্রকাশনা হিসাবে চিহ্নিত।
গ্রেগোরিয়ান ক্যালেন্ডার অনুসারে ঈদ-উল-ফিতর-র কোনও নির্দিষ্ট দিন নেই। দশম মাসের আগে আকাশে চাঁদ দেখা যাওয়ার পরেই ঈদ পালিত হয়। সুতরাং, রমজানের শেষ দিনে চাঁদ দেখার পরের দিন খুশীর ঈদ পালন হয়। শাওয়ালের চাঁদটি সৌদি আরবে প্রথম দেখা যায়। আর সেই অনুযায়ী অন্যান্য দেশে ঈদ পালনের তারিখটি নিশ্চিত হয়। যেহেতু এই বছর, ভারতে রমজান শুরু হয়েছিল ১৪ এপ্রিল থেকে। তাই মনে করা হয়েছিল ঈদ-উল-ফিতর পড়বে আগামী বৃহস্পতিবার ১৩ মে। কিন্তু আরবে চাঁদ দেখতে না পাওয়ায় একদিন পিছলো এই উৎসব।
আরও পড়ুন: ইফতারে বাড়িতে বানিয়ে নিন এই সেরা সামার ড্রিঙ্কগুলি
ঈদ-উল-ফিতর উদযাপন
ঈদের দিন সকালে মুসলমানরা মসজিদে একত্রিত হয়ে নামাজ পড়েন। এরপরে তাঁদের পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে দিনটি কাটান। একে অপরকে 'ঈদ মোবারক' জানিয়ে কোলাকুলির মাধ্যমে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। নতুন জামাকাপড়, নাচ-গান, আড্ডা, খাওয়া -দাওয়া, সব মিলিয়ে চুটিয়ে উপভোগ করেন এই উৎসব।
আরও পড়ুন: আজ থেকে শুরু রমজান! জানুন এই পবিত্র মাসের গুরুত্ব
'ঈদ-উল-ফিতর' কথাটির অর্থ উপবাস ভঙ্গের উত্সব। রমজান মাসের উপবাস ভঙ্গ করা হয় ঈদের দিনে। চাঁদ দেখার ওপর নির্ভর করে, রমজান মাস কখনও ২৯ দিন তো কখনও ৩০ দিন হয়। এরপর চাঁদ দেখে পালন নয় খুশীর ঈদ। তবে ২০২০ সাল থেকে অন্যান্য অনেক উৎসবের মতো ভাটা পড়েছে ঈদের আনন্দও। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে চলছে আংশিক লকডাউন। সেই সঙ্গে করোনার বার বাড়ন্তে ভীত সকলে। তাই এবছরের খুশী ঈদও কিছুটা বিষাদময়।