আগামী ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে হিন্দু নববর্ষ অর্থাৎ বিক্রম সম্বৎ। হেমাদ্রির ব্রহ্ম পুরাণ বলছে, চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে পৃথিবী সৃষ্টি করেছিলেন ব্রহ্মা। তাই পঞ্চাঙ্গ অনুযায়ী প্রতি বছর চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের প্রতিপদ তিথিতে নতুন বছর শুরু হয়। একে নব সংবৎসরও বলা হয়। এই ক্যালেন্ডারের সূচনা করেছিলেন মহারাজ বিক্রমাদিত্য। তাই বিক্রমসম্বৎও বলা হয়। চলুন জেনে নিই বিক্রম সম্বৎ কবে শুরু হয়েছিল? আর নতুন বছর নিয়ে জ্যোতিষীরা কী বলছেন?
ইংরেজি ক্যালেন্ডারের ৫৭ বছর আগে সূচনা
রাজা বিক্রমাদিত্যের রাজত্বকালে সর্বশ্রেষ্ঠ জ্যোতির্বিজ্ঞানী ছিলেন বরাহমিহির। তাঁর হাতেই তৈরি হয়েছিল বিক্রম সম্বৎ। ইংরেজি ক্যালেন্ডার থেকে ৫৭ বছর এগিয়ে। ২০২২ + ৫৭ = ২০৭৯ বিক্রম সম্বৎ হতে চলছে। হিজরি সম্বৎ ছাড়া বাকি সব ক্যালেন্ডার শুরু হয় জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারি মাসে। ভারতে প্রচলিত অনেক ক্যালেন্ডার রয়েছে। তার মধ্যে বিক্রম সম্বৎ এবং শক সম্বৎ অন্যতম।
গোটা বিশ্বে সৌরচক্র এবং চন্দ্রচক্রের ভিত্তিতে সময় গণনা করা হয়। সৌরচক্র অনুযায়ী, সূর্যের চারপাশে একবার ঘুরতে পৃথিবীর ৩৬৫ দিন এবং প্রায় ৬ ঘন্টা সময় লাগে। এভাবে, একটি সৌর বছরের উপর ভিত্তি করে একটি ক্যালেন্ডার বর্ষে থাকে ৩৬৫দিন। একটি চন্দ্র বর্ষের উপর ভিত্তি করে ক্যালেন্ডারে ৩৫৪ দিন থাকে।
কাদের লোকসান?
জ্যোতিষীরা বলছেন, ২০২২ সালের ২ এপ্রিল থেকে শুরু হচ্ছে বিক্রম সম্বৎ। ২০৭৯-র রাজা হলেন শনিদেব। আর তাঁর মন্ত্রী বৃহস্পতি। ফলে নতুন বছরে যাঁদের শনির মহাদশা চলছে তাঁদের জন্য কষ্টদায়ক হতে পারে। যাঁদের কুষ্টিতে শনির সাড়ে সাতি রয়েছে তাঁদের জীবনে নেমে আসতে পারে বিবিধ সঙ্কট। শনির প্রকোপ থেকে বাঁচত ব্যবস্থা নিন।
কাদের লাভ?
জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা অনুযায়ী, মকর রাশিতে শনির সঙ্গে মঙ্গল গ্রহের মিলন নতুন বছর অশান্তি ডেকে আনতে পারে। যে সকল রাশির জাতক-জাতিকাদের বৃহস্পতিবার আশীর্বাদ এবং কুষ্টিতে বৃহস্পতি উচ্চস্থানে রয়েছে তাঁদের জন্য শুভ ও ফলদায়ক হবে নববর্ষ। ব্যবসায়িক এবং আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে লাভের যোগ রয়েছে।