২২ জুন থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে অম্বুবাচী। যা শেষ হবে ২৫ জুন। কামাখ্যা মন্দিরের প্রধান প্রবেশদ্বার এই সময় ভক্তদের জন্য বন্ধ থাকে। অম্বুবাচীর সময় মন্দিরটি তিন দিন বন্ধ থাকে, কারণ বিশ্বাস করা হয় যে দেবী কামাখ্যা তিন দিন বিশ্রাম নেন, যেমনটি মহিলাদের ঐতিহ্যবাহী ঋতুস্রাবের সময় পালন করা হয়। এই সময় মন্দিরে বিশেষ পুজো-অর্চনা করা হয়। এই সময় কামাখ্যায় অম্বুবাচী মেলা হয়। বহু লোকসমাগম হয়। কামাখ্যায় তান্ত্রিক আচার-অনুষ্ঠান হয়। এই সময়কালে জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, সূর্য মিথুন রাশিতে প্রবেশের ঠিক পরেই অমাবস্যা দেখা যায়। এই সময়কালে সর্বোত্তম ফলাফলের জন্য কিছু নির্দিষ্ট নির্দেশিকা অনুসরণ করা উচিত, পাশাপাশি কিছু নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। শাস্ত্রে এই সময়ে বিভিন্ন কর্মের কথা বলা হয়েছে যা এড়ানো উচিত।
২২ জুন, ৭ আষাঢ়, রবিবার অম্বুবাচী শুরু হয়েছে দুপুর ২টো ৫৬ মিনিটে। যা শেষ হবে, ১০ আষাঢ়, বুধবার ২৫ জুন, রাত ৩টে ১৯ মিনিট ১৭ সেকেন্ড গতে। জেনে নিন এই সময় কী কী নিয়ম পালন করবেন আর কী কী করা উচিতয
কী কী করবেন
এই সময় বাড়িতে থাকা সকল দেবীর মূর্তি লাল কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। অম্বুবাচীর সময়, মন্ত্র উচ্চারণ করে পূজা করা থেকে বিরত থাকুন। পরিবর্তে, কেবল ধূপ জ্বালান এবং আপনার দেবতাকে স্মরণ করুন। অম্বুবাচীর সময়, ব্রাহ্মণদের খাওয়ানো আপনার ইচ্ছা পূরণে সহায়তা করে বলে বিশ্বাস করা হয়। এছাড়াও, আপনি এই অনুষ্ঠানের অংশ হিসাবে তিনজন দরিদ্র ব্যক্তিকে ফল দান করতে পারেন। এই সময় কুমারী মেয়েদের উপহার দেওয়া এবং তাঁদেরকে পছন্দমতো খাওয়ানো শুভ।
স্বামী-স্ত্রী করণীয়
অম্বুবাচী তিথি চলাকালীন যে কোনও এক দিন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে উপবাস রাখুন, মঙ্গল হলে সংসারে৷ এতে সম্পর্কের আরও মজবুত হবে।
কী কী করবেন না
অম্বুবাচীর সময় গাছ লাগানো এবং খননও নিষিদ্ধ। অম্বুবাচী শুরু হওয়ার আগে তুলসীগাছের গোড়ায় নতুন করে মাটি দিয়ে সেটিকে একটু উঁচু করে দিন। অম্বুবাচীর তিন দিন বিবাহ, পুজো, গৃহস্থালির কাজ ইত্যাদির মতো কোনও শুভ কার্যকলাপ করা উচিত নয়। এই সময়ে ফসল চাষ, বাড়ি বা জমি কেনা-বেচা এবং সাপকে আঘাত করা এড়িয়ে চলুন। প্রয়োজন না হলে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শও দেওয়া হয়।