Gangajal Vastu Tips: বাড়িতে গঙ্গাজল রাখার নিয়ম আছে, ভুল জায়গায় রাখলে ফল মেলে না

সনাতন ধর্মে গঙ্গা নদীকে দেবী রূপে পুজো করা হয়। গঙ্গাজলকে অত্যন্ত পবিত্র মনে করেন সনাতনীরা। কলিযুগে গঙ্গাজলকে পাপহারিণী বলে মনে করা হয়। লোকবিশ্বাস,কোনও ব্যক্তি কেবল গঙ্গা নদীতে স্নান করলে সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি মেলে।

১. এখানে গঙ্গাজল রাখুন-  বাস্তুশাস্ত্র অনুসারে,বাড়ির মন্দিরে সবসময় গঙ্গাজল রাখা উচিত এর ফলে গঙ্গাজলের পবিত্রতা বজায় থাকে। অপবিত্র হয় না।

২. এমন পাত্রে কখনও গঙ্গাজল রাখবেন না- সাধারণত গঙ্গাজল প্লাস্টিকের বোতলে রাখা হয়। তা একেবারেই করা উচিত নয়। কারণ তাতে অপবিত্র হয় গঙ্গাজল। গঙ্গাজল সর্বদা তামা, পিতল, রুপো বা মাটির পাত্রে রাখতে হবে। চাইলে কাচের বোতল ব্যবহার করতে পারেন।

৩. এভাবে গঙ্গাজল স্পর্শ করবেন না- গঙ্গাজল কখনও নোংরা হাতে স্পর্শ করা উচিত নয়। লোকবিশ্বাস, নোংরা হাতে গঙ্গার জল স্পর্শ করলে ঘরে দোষ আসে। সেই কারণে গঙ্গার জল স্পর্শ করার আগে শরীর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ভুলবেন না। স্নান করে তবেই গঙ্গাজল স্পর্শ করা উচিত। সেই সঙ্গে কাচা ও পরিষ্কার পোশাকও পরা উচিত।  

৪. এসব জায়গায় গঙ্গাজল রাখবেন না- শোওয়ার ঘর, খাবার ঘর, রান্নাঘর বা বাথরুমের কাছে কখনও গঙ্গাজল রাখা উচিত নয়। এ ছাড়া গঙ্গাজলকে অন্ধকারে রাখা উচিত নয়। এতে গঙ্গাজলের পবিত্রতা নষ্ট নয়। গঙ্গাজল রান্নাঘরের আশেপাশেও রাখা উচিত নয়। কারণ রান্নাঘরে সব ধরণের খাবার তৈরি করা হয়। খাবারে রসুন, পেঁয়াজের মতো জিনিসও ব্যবহার করা হয়। তৈরি হয় মাছ-মাংসও। এতে গঙ্গাজল অশুদ্ধ হয়ে ওঠে। 

৫. কখন গঙ্গার জল ছোঁয়া যায় না- সূর্য বা চন্দ্রগ্রহণের সময় বা যে ঘরে সন্তানের জন্ম হয় সেখানে গঙ্গাজল স্পর্শ করা উচিত নয়। পরিবারের কেউ যেন গঙ্গার জল স্পর্শ না করে।