দুর্গাপুজোর (Durga Puja) পাট এই বছরের মতো চুকেছে। আবার এক বছরের অপেক্ষা। এখন প্রস্তুতি লক্ষ্মীপুজোর (Lakshmi Puja)। ইতিমধ্যে বাঙালির ঘরে ঘরে শুরু হয়ে গিয়েছে কোজাগরী লক্ষ্মীকে বরণ করার প্রক্রিয়া। অনেকে আবার কালীপুজোর দিন মহালক্ষ্মীর পুজোও করেন। মা লক্ষ্মী ধন-দৌলত, অর্থ, শৌর্য, সুখ, সমৃদ্ধির দেবী। এমনিতে বছরের বিভিন্ন সময় বিভিন্ন রূপে মা লক্ষ্মী পূজিত হন। তবে আশ্বিনের শেষ পূর্ণিমাতেও পূজিত হন মা লক্ষ্মী। যা কোজাগরী লক্ষ্মী নামে পরিচিত। এমনিতে সব পুজোর মতো পুরোহিত দিয়েই লক্ষ্মী পুজো করা যায়। তবে লক্ষ্মীপুজো এমন পুজো যাতে গৃহস্থ নিজেও পুজো করতে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এই পাঁচ সহজ উপায়ে মা লক্ষ্মীকে চিরদিন ঘরে বেঁধে রাখুন
‘কে জাগে রে’ কথা থেকে কোজাগরী শব্দটির উৎপত্তি। যার অর্থ ‘কে জেগে আছো?’ হিন্দুপুরাণ অনুযায়ী কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর দিন মা মর্ত্যে আসেন। গৃহস্থবাড়িতে গিয়ে আশীর্বাদ দেন। কিন্তু যে বাড়ির দরজা বন্ধ থাকে, সেই বাড়িতে দেবী প্রবেশ করেন না। সে জন্য রাত জেগে মা লক্ষ্মীর পুজো হয়। রাত জাগার সময় আগে পাশা খেলার চল ছিল। এ ছাড়া বিভিন্ন ছুতোয় জাগতে পারেন।
লক্ষ্মীপুজোয় পুরোহিত ছাড়াই পুজো করা সম্ভব। আসুন জেনে নিই বিধি। যাতে পুজো হবে নিয়ম মেনে। খুশি হবেন মা লক্ষ্মীও।
পুরোহিত ছাড়া কীভাবে ঘরে বসেই করবেন লক্ষ্মীপুজো?
১. প্রথমে স্নান সেরে শুদ্ধ আসনে বসুন। আচমন থেকে শুরু করে পঞ্চদেবতার পুজো করতে হবে ৷
২.লক্ষ্মীর ধ্যান করে বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে দেবী লক্ষীকে অর্পন করুন।
৩. লক্ষ্মীপুজোর পঞ্চ উপাচার, দশ উপাচার, ষোলো উপাচারে করা হয়। পুজোর রীতি হিসেবে লক্ষীর ধ্যান করুন। পুজো ,মন্ত্র পাঠ ,পুষ্পাঞ্জলি প্রদান ও প্রণাম মন্ত্র পাঠ করতে হয় এবং অবশেষে বিসর্জন দিতে হয় ৷
৪. স্নান করে শুদ্ধ হয়ে লক্ষ্মী গায়ত্রী মন্ত্র ১০৮ বার জপ করলে মা লক্ষ্মী অত্যন্ত তুষ্ট হন।
৫.আলপনায় দেবীর পায়ের চিহ্ন আঁকলে সবচেয়ে ভাল ফল দেয়। পায়ের আলপনা হবে বাড়ির অন্দরমুখী। বাইরের দিকে ভুলেও পায়ের আলপনা দেবেন না।
৬. লক্ষ্মীর প্রতিমা বা পটের সামনে দু’টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।নএর সঙ্গে পদ্ম, নারকেল ও ক্ষীরের নৈবেদ্য অর্পণ করুন।
৭.পুজো শেষ করে ভক্তিভরে প্রণাম ও ব্রতকথা পাঠ করুন।