
কালী ঠাকুর বিসর্জন হতেই জগদ্ধাত্রী পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে যায়। চন্দননগর, কৃষ্ণনগরে ধুমধাম করে এই পুজো হলেও উৎসবের আমেজ থাকে গোটা রাজ্যেই। সাধারণত জগদ্ধাত্রীর পুজোর নবমীর দিনটিই বড় করে উদযাপিত হয়। তবে এবার দু'রকমের পঞ্জিকা মতে মতানৈক্য রয়েছে নবমী নিশি নিয়ে। ফলস্বরূপ বাড়তি একটা দিন পাওনা হয়েছে এই পুজোয়।
জগদ্ধাত্রী পুজো কবে?
ভিন্ন ভিন্ন পঞ্জিকা মতে পুজোর নির্ঘণ্টে ফারাক নজরে পড়েছে এই পুজোয়। মূলত নবমী ও দশমীর তারিখ নিয়েই মতভেদ দেখা গিয়েছে। নতুন পূর্ণচন্দ্র পঞ্জিকা মতে নবমীর পুজো হবে আগামী ৩০ অক্টোবর এবং দশমীর পুজো হবে আগামী ৩১ অক্টোবর। আবার রাষ্ট্রীয় পঞ্চাঙ্গম পঞ্জিকা মতে নবমীর পুজো হবে আগামী ৩১ অক্টোবর এবং দশমীর পুজো হবে আগামী ১ নভেম্বর। শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হবে দশমী অর্থাৎ ১ নভেম্বর, শনিবার।
উল্লেখ্য, চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির তত্ত্বাবধানে এ বছর দু'টি পঞ্জিকার তারিখ মেনেই পুজো হবে। এর ফলে পুজো এবার ৫ দিন ধরে চলবে। চন্দননগর কেন্দ্রীয় জগদ্ধাত্রী পুজো কমিটির হিসাবে পুজোর আনুষ্ঠানিক সূচনা হচ্ছে আগামী ২৭ অক্টোবর। ওই দিনই পড়েছে জগদ্ধাত্রী পুজোর ষষ্ঠী। আর এতে আখেরে লাভ দর্শনার্থীদের। একটি অতিরিক্ত দিন ঠাকুর দেখার সুযোগ পাবেন তারা।
চন্দননগর মানে শুধুই জগদ্ধাত্রী পুজো নয়, বিখ্যাত আলোকসজ্জা এবং শোভাযাত্রা। আর তা দেখতে বাংলা তো বটেই, দেশ-বিদেশ থেকেও প্রচুর মানুষ ভিড় জমান। আর এবার তাদের পোয়াবারো। অতিরিক্ত ১ দিন সময় মিলবে চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী ঠাকুরগুলি দেখার।
শোভাযাত্রায় কী কী নিষেধাজ্ঞা?
প্রতিবারের মতো এবারও জগদ্ধাত্রী পুজোর শোভাযাত্রায় কোনও বাজি ফাটানো যাবে না। একইসঙ্গে বাজানো যাবে না বক্স কিংবা ডিজে সিস্টেম। প্রতিমার রঙে ব্যবহার করা হচ্ছে না সিসা।
এ বছর চন্দননগরে মোট ১৮০টি পুজো হচ্ছে। তার মধ্যে শোভাযাত্রায় অংশ নেবে ৭০টি পুজো।