Nirjala Ekadashi 2023: হিন্দু পঞ্জিকার তৃতীয় মাস জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষ চলছে। এই মাসটি ৪ জুন ২০২৩-এ শেষ হবে। জ্যৈষ্ঠ মাস উপবাস ও দান করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হয়। জ্যৈষ্ঠে সূর্য অত্যন্ত শক্তিশালী, তাই তাপও প্রচণ্ড। এবার ২৫ পৃথিবী ৯ দিন ধরে খুব দ্রুত উত্তপ্ত হয়। এমন অবস্থায় জ্যৈষ্ঠের দ্বিতীয় দিনে ১৫ দিন জল দান করার বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। আসুন জেনে নিই জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষে জল দান করার উপকারিতা।
জ্যৈষ্ঠ মাসের জলদানের তাৎপর্য
শাস্ত্রে জ্যৈষ্ঠ মাসেই জল সংরক্ষণের বিশেষ গুরুত্ব ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এই মাসে তাপ সবচেয়ে বেশি থাকে। এ অবস্থায় জলের অধিকাংশ উৎস (নদী, পুকুর, কূপ ইত্যাদি) শুকিয়ে যায়। এই কারণেই যে জ্যৈষ্ঠ মাসে জল দান করেন, জলের অপচয় করেন না, তিনি মা লক্ষ্মী ও বিষ্ণুর আশীর্বাদ পান। তাঁর টাকা ও খাবারের ভাণ্ডার কখনও খালি থাকে না। জ্যৈষ্ঠ শুক্লপক্ষের বরুণ দেবের পুজোর জন্য গঙ্গা দশেরা ও নির্জলা একাদশীর উপবাস আমাদের জলের গুরুত্ব বোঝায়।
জ্যৈষ্ঠ মাসে জলদান ও উপে এসব সুবিধা পাবেন
জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষে অর্থাৎ ১৫ দিনে পশু-পাখিদের পানীয় জলের ব্যবস্থা করুন। এটা বিশ্বাস করা হয় যে এটি অগ্রগতির প্রতিটি বাধা ধ্বংস করে এবং কর্মক্ষেত্রে সাফল্য দেয়।
জল দান করার সর্বোত্তম উপায় হল পথচারীদের জল দেওয়া বা তাঁদের জন্য পানীয় জল আনা। শাস্ত্র মতে, যে ব্যক্তি জ্যৈষ্ঠ মাসে মানুষের জলসেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেন, তাঁকে কখনও দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে হয় না। মা লক্ষ্মী সর্বদা তাঁর প্রতি সদয় থাকেন। পূর্বপুরুষদের আত্মা শান্তি পায় এবং পিতৃদোষ দূর হয়।
এই ১৫ দিনে গাছপালাতে জল দিন। প্রচণ্ড গরম থেকে তাদের রক্ষা করার চেষ্টা করুন। কথিত আছে যে এই প্রতিকারে সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়, গাছ-গাছালি যেমন ফুল ফোটে, তেমনি ব্যক্তির সৌভাগ্য বৃদ্ধি পায়। কোনও বাধা ছাড়াই সব কাজ সম্পন্ন হবে। গ্রহের বাধা থেকে মুক্তি পাবেন। বিশেষ করে অশ্বত্থ, ধান, তুলসী গাছে জল নিবেদন করলে দ্বিগুণ উপকার পাওয়া যায়।