
প্রতি মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমীতে কালাষ্টমী পালিত হয়। এই বিশেষ তিথিতে পুজো করা হয় ভগবান শিবের রক্ষক রূপ কালভৈরবের। হিন্দু ধর্মের বিশ্বাস মতে, ভয় দূর হয়, বাধা সরে দাঁড়ায় এবং সাহস ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি পায়। আসন্ন কালাষ্টমী হতে চলেছে ২০২৫ সালের শেষ কালাষ্টমী। ফলে এটি ভক্তদের কাছে বিশেষ হয়ে উঠেছে। এই দিনে কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করলে অনেক অসুবিধা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ২০২৫ সালের শেষ কালষ্টমী কখন এবং এই দিনে কী কী ব্যবস্থা গ্রহণ করলে উপকার পাওয়া যেতে পারে, জেনে নেওয়া যাক।
কালাষ্টমী কখন?
এই মাসে অষ্টমী তিথি ১১ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৫৭ মিনিটে শুরু হবে এবং ১২ ডিসেম্বর, ২০২৫ তারিখে শুক্রবার ভোর ২:৫৬ মিনিটে শেষ হবে।
কালাষ্টমীতে এই মন্ত্রগুলি জপ করতে হবে
ওম শিবগণয়া বিদ্মহে গৌরীসুতায়া ধীমহি তন্নো ভৈরব প্রচোদয়াৎ।
ওম কালভৈরবায় নমঃ
ওম ভ্রম কালভৈরবায় ফাট
ধর্মধ্বজ, শঙ্করারূপেমকম, শরণায়ামিত্তহম ভুবানেষু সিদ্ধম। দ্বিজেন্দ্র পুজ্যম বিমলাম ত্রিনেত্রাম শ্রী ভৈরবম তম শ্মরণাং প্রপধেয়া।
কালভৈরব জয়ন্তীতে কী কী করবেন?
যদি কোনও ব্যক্তি ভূত, জাদুবিদ্যা বা অন্য কোনও ধরণের নেতিবাচক শক্তির প্রভাব অনুভব করেন, তাহলে কালভৈরবের পূজা করা বিশেষভাবে উপকারী। শাস্ত্রে বলা হয়েছে যে এই সময়ে রাতে 'ভৈরব অষ্টক' পাঠ করা অত্যন্ত কার্যকর। উপরন্তু, সরষের তেলের প্রদীপ জ্বালালে ঘর এবং মন উভয় থেকে নেতিবাচক শক্তি দূর হয়।
পাশাপাশি, যদি কারোর কুণ্ডলীতে কালসর্প দোষ, পিতৃ দোষ, অথবা শনি সম্পর্কিত কোনও দুর্দশা থাকে, তাহলে তাদের কাল ভৈরবের মন্দিরে লেবু উৎসর্গ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়াও, "ওঁ হ্রিম কাল ভৈরবয় নমঃ" মন্ত্রটি ১০৮ বার জপ করলে গ্রহের অশুভ প্রভাব কমবে বলে বিশ্বাস করা হয়।
যদি টাকা পয়সা ও সম্পত্তি সংক্রান্ত সমস্যা থাকে আয় নির্দিষ্ট না হয় অথবা বারবার আর্থিক সংকটের মুখোমুখি হলে মঙ্গলবার এবং শনিবার কালো কুকুরকে রুটি খাওয়ানো খুবই শুভ বলে মনে করা হয়।
যদি কোনও ব্যক্তি ক্রমাগত ভয়, উদ্বেগ, মানসিক চাপ বা অনিদ্রায় ভোগেন, তাহলে বাড়ির দক্ষিণ দিকে ভৈরব যন্ত্র স্থাপন করা উপকারী বলে মনে করা হয়। নির্ধারিত রীতি অনুসারে প্রতিদিন এই যন্ত্রের পূজা করলে মনের শান্তি আসে, ভয় দূর হয় এবং মনে শান্তি আসে।