Laxmi Puja In Kartik Month: ১০ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে কার্তিক মাস। এই মাস শেষ হবে ৮ নভেম্বরে। ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় মাসগুলির মধ্যে একটি হল কার্তিক মাস। বড় পুজোগুলি আপাতত শেষের দিকে। দীপাবলির পাশাপাশি সামনে ছট পুজো ও জগদ্ধাত্রী পুজো আছে। তার প্রস্তুতি চলছে। তবে এর পাশপাশি কিছু পুজো আছে যা সারা মাস ধরে করা যায়। নিজের ভাগ্যকেও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়. এই মাসে ভগবান বিষ্ণু এবং লক্ষ্মীর পুজো করা যায়, গোটা মাস ধরে। যা অত্যন্ত শুভ ফল দেয়। সমগ্র কার্তিক মাসে, দেবী লক্ষ্মীর যথাযথ পুজোর পাশাপাশি লক্ষ্মী স্তোত্রও পাঠ করতে হয়। এভাবে পুজো করলে ও স্তোত্র পাঠ করলে সব ধরণের রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জীবনে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
আরও পড়ুনঃ উত্তরবঙ্গে কবে ঢুকবে শীত? আবহাওয়ার যা পূর্বাভাস...
কার্তিক মাসে তুলসী পুজোর নিয়ম রয়েছে। আর সকলেই জানেন তুলসী ভগবান বিষ্ণুর প্রিয় গাছ। তাই এই মাসে বিষ্ণু পূজাও করা উচিত। প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, কার্তিক মাসে ভগবান বিষ্ণুর পাশাপাশি দেবী লক্ষ্মীর আরাধনা করলে ধন-সম্পদ লাভ হয়। এছাড়া জীবনে আসে শান্তি, সুখ ও সমৃদ্ধি। দূর হয় রোগ-ব্যাধি।
আর কী কী করতে হবে কার্তিক মাসে যাতে সুখ-সমৃদ্ধি বজায় থাকবে?
স্কন্দপুরাণ অনুসারে একটি শ্লোক অনুসারে, কার্তিক মাস দেবী লক্ষ্মীর আরাধনার জন্য শ্রেষ্ঠ। স্বাস্থ্য লাভ, রোগ নাশ, বুদ্ধির উন্নতি ঘটে।
কীভাবে লক্ষ্মীর পূজা করবেন?
সারাদিনের সব কাজ শেষ করে স্নান করুন। এরপর উপবাস করুন। রবিবার ছাড়া প্রতিদিন স্নান করে তুলসী গাছে জল দিন। সেই সঙ্গে নিয়ম করে পুজো করুন। ভগবান বিষ্ণু এবং লক্ষ্মীকে পুজো করুন। প্রথমে দেবী লক্ষ্মীকে জল নিবেদন করুন। এরপর ফুল, মালা, সিঁদুর, নৈবেদ্য, ভোগ নিবেদন করুন দেবী লক্ষ্মীর চরণে। এর পর ঘি দিয়ে জ্বালান প্রদীপ। ধূপ জ্বালাতেও ভুলবেন না। পূজা শেষ হলে লক্ষ্মীমন্ত্র সহ লক্ষ্মী চালিসা, লক্ষ্মী স্তোত্র পাঠ করুন। এরপর কনকধারা স্তোত্র ও বিষ্ণু সহস্রনাম স্তোত্র পাঠ করলে আরও ভালো ফল হবে।
মহালক্ষ্মী স্তোত্র
নমস্কার স্তূ মহামায়ে শ্রীপীঠে সুরপুজিতে। এই মন্ত্রটি পাঠ করে পুজো করতে হবে। তাহলে ফল মিলবে চটপট।