Advertisement

Mahalaya 2021 Devi Durga Chokkhu Daan: মহালয়ায় দেবীপক্ষের সূচনায় দুর্গার চক্ষুদান রীতি! জানুন গুরুত্ব ও তাৎপর্য

Mahalaya 2021 Devi Durga Chokkhu Daan Ritual: মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি। এই বিশেষ দিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়।  

মহালয়ার দিন হয় দেবী দুর্গার চক্ষুদান
Aajtak Bangla
  • মুম্বই,
  • 06 Oct 2021,
  • अपडेटेड 10:37 AM IST
  • মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত ।
  • এই মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক।
  • এই বিশেষ দিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান হয়।  

Mahalaya 2021 Devi Durga Chokkhu Daan Ritual: আশ্বিনের 'শারদ প্রাতে' বেজে উঠেছে আলোকবেণু... আজ অর্থাৎ বুধবার (৬ অক্টোবর), মহালয়া (Mahalaya)। এদিন পিতৃপক্ষের (Pitri Paksha) অবসান হয়ে, মাতৃপক্ষ (Matri Paksha) শুরু হচ্ছে। আজই আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর (Durga Puja) সূচনা। কথিত আছে মহালয়ার দিন অসুর ও দেবতাদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছিল। এই মহালয়ার গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। মহালয়ার দিন পিতৃ পুরুষদের উদ্দেশ্যে তর্পণ করার রীতি প্রচালিত আছে। 

মহালয়া শব্দটির অর্থ, মহান আলয় বা আশ্রম। এক্ষেত্রে দেবী দুর্গাই হলেন, সেই মহান আলয়। পুরাণ থেকে মহাভারত, মহালয়া ঘিরে বর্ণিত আছে নানা কাহিনি। মহালয়ার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে আরও এক গুরুত্বপূর্ণ রীতি। এই বিশেষ দিনই দেবীর দুর্গার চক্ষুদান (Chokhhu Daan) হয়।  

মনে করা হয়, দুর্গাপুজোর সূচনা হয়, দেবীর চক্ষুদানের মাধ্যমেই। রামায়ণ অনুসারে, রাবণ বসন্ত কালে দেবী দুর্গার পুজো শুরু করেন, যা বর্তমানে বাসন্তী পুজো নামে পরিচিত। শ্রীরামচন্দ্র পরবর্তীকালে শরৎকালে দুর্গাপুজোর আয়োজন করেন, যা অকালবোধন নামে পরিচিত। এরপর থেকেই শারদীয়া দুর্গাপুজো চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। 

আরও পড়ুন:  দুর্গাপুজো থেকে লক্ষ্মীপুজো! জানুন পার্বণে ভরা অক্টোবর মাসের ব্রত- উৎসবের দিনক্ষণ

আগে রাজবাড়ি কিংবা জমিদার বাড়িতেই দুর্গাপুজো হত। রথের দিন কাঠামো পুজো হত এবং মহাসপ্তমীর দিন নবপত্রিকা প্রবেশের পর দেবীর চক্ষুদান পর্ব হত। যেহেতু মহালয়ার দিন দেবীপক্ষের সূচনা হয়, তাই পরবর্তীকালে মহালয়ার দিনই প্রতিমার চক্ষু আঁকার চল শুরু হয়। 

 
চক্ষুদানের পরই প্রতিমায় প্রাণ প্রতিষ্ঠা হয়। মহাসপ্তমীর সকালে শুদ্ধাচারে ডান হাতে কুশের অগ্রভাগ নিয়ে দেবী দুর্গাকে কাজল পরানো হয়। প্রথমে ত্রিনয়ন, তারপর বাম চক্ষু ও শেষে ডান চক্ষু আঁকা হয় মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে। পর্দায় ঢাকা ঘেরাটোপে পুরোহিতের উপস্থিতিতে লেলিহান মুদ্রায় মোট ১০৮ বার বীজমন্ত্র জপ করা হয়। এর পরেই মৃন্ময়ী থেকে চিন্ময়ীতে রূপে প্রতিষ্ঠিত হন দুর্গা। তবে শুধু দুর্গার না, তাঁর চার ছেলে মেয়ে - লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী ও কার্তিক, এমনকী তাঁদের বাহনদেরও প্রাণ প্রতিষ্ঠা করা হয়।

Advertisement

আরও পড়ুন:  মা দুর্গার আগমন- গমনে অশনি সংকেত! জানুন পৌরাণিক তাৎপর্য ও পঞ্জিকার বিশ্লেষণ

আরও পড়ুন: অঞ্জলী থেকে দেবীর বিসর্জনের সময়! পঞ্জিকা মতে জানুন দুর্গা পুজোর সম্পূর্ণ নির্ঘণ্ট

তবে বর্তমানে বারোয়ারি পুজোর সংখ্যা বহুগুণে বেড়েছে। তাই অনেক শিল্পীরা কাজের সুবিধার জন্য মহালয়ার আগেও চক্ষু আঁকেন দুর্গার। তবে একথা বলাই বাহুল্য মহালয়ায় চক্ষুদানের গুরুত্ব হিন্দু ধর্মে অনেক। এদিনেরই পর থেকে ঢাকে কাঠি পড়ে যায় দুর্গাপুজোর।      

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement