Sarva Pitru Amavasya 2025: হিন্দু ধর্মে, পিতৃপক্ষের সমাপ্তির দিনটিকে সর্বপিতৃ অমাবস্যা বলা হয়। এই বছর, এই শুভ তিথিটি ২১ সেপ্টেম্বর, রবিবারে পড়েছে, যা মহালয়া হিসেবে পালিত হবে। উল্লেখযোগ্যভাবে, বছরের শেষ সূর্যগ্রহণও এই দিনে ঘটবে, যা এই দিনটিকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ করে তুলেছে।
পঞ্জিকা অনুসারে, আশ্বিন মাসের অমাবস্যা তিথিকে পূর্বপুরুষদের প্রস্থানের দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এই উপলক্ষে লোকেরা তাদের পূর্বপুরুষদের স্মরণ করে শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং পিণ্ড দান করেন। এই তিথিটি সেইসব প্রয়াত আত্মাদের জন্য বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ যাদের মৃত্যুর তারিখ অজানা। এই ধরনের পূর্বপুরুষদের জন্য ভক্তি ও নিষ্ঠার সঙ্গে আচার অনুষ্ঠান করারও প্রথা রয়েছে।
পিতৃ তর্পণের গুরুত্ব
ধর্মীয় বিশ্বাস হলো, সর্বপিতৃ অমাবস্যায় শ্রাদ্ধ, তর্পণ এবং পিণ্ডদানের মাধ্যমে পূর্বপুরুষদের আত্মা তৃপ্তি এবং শান্তি লাভ করে। এই আচার সরাসরি পিতৃলোকে পৌঁছায় এবং এতে সন্তুষ্ট পূর্বপুরুষরা তাদের বংশধরদের দীর্ঘায়ু, সম্পদ এবং সুখ ও সমৃদ্ধি দান করেন। বিশ্বাস করা হয় যে সর্বপিতৃ অমাবস্যার দিনে যদি তুলসী সম্পর্কিত কিছু উপায় করা হয়, তাহলে পিতৃ দোষের প্রভাব অনেকাংশে হ্রাস পেতে পারে এবং পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে।
মহালয়ার দিন এই কাজগুলি করুন-
হলুদ সুতো বা কলাভা বাঁধা
ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে, এই দিনে হলুদ বা লাল সুতোয় ১০৮টি গিঁট বেঁধে তুলসী গাছের সঙ্গে বেঁধে দিন। এটি করলে পুরো পরিবারে সুখ ও সমৃদ্ধি আসে। বলা হয় যে এই আচার দেবী লক্ষ্মীকে সন্তুষ্ট করে এবং ধীরে ধীরে আর্থিক সমস্যা দূর করে।
প্রদীপ জ্বালানো এবং পরিক্রমা
অমাবস্যার দিন তুলসী গাছে জল দেওয়া বা তার পাতা ছিঁড়ে ফেলা অশুভ বলে মনে করা হয়। তবে, সর্বপিতৃ অমাবস্যার সন্ধ্যায় তুলসী গাছের কাছে ঘির প্রদীপ জ্বালানো এবং সাত বা এগারো বার প্রদক্ষিণ করা শুভ বলে মনে করা হয়। এতে ভগবান বিষ্ণু এবং দেবী লক্ষ্মীর বিশেষ আশীর্বাদ আসে।
লাল ওড়না নিবেদন
সর্বপিতৃ অমাবস্যায় তুলসী মাতাকে লাল চনরি অর্পণ করাও বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হয়। এই প্রথা কেবল বিবাহিত জীবনে সম্প্রীতি বজায় রাখে না বরং ঘরে শান্তি ও অগ্রগতিও বয়ে আনে।