এ বার ১৮ ফেব্রুয়ারি, শনিবার মহাশিবরাত্রি। জ্যোতিষীদের মতে, এই বছরের মহাশিবরাত্রি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। একে তো শনিবার তার উপরে ত্রয়োদশী। জানুয়ারিতে শনিদেব রাশি পরিবর্তন করেছিলেন। শনির সাড়ে সাতি ও ঢাইয়া চলছে কয়েক রাশিতে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি কুম্ভ রাশিতে সূর্য ও শনির যুতি তৈরি হয়েছে। সূর্য, চন্দ্র ও শনির ত্রিগ্রহী যোগ তৈরি হয়েছে মহাশিবরাত্রিতে। সেই সঙ্গে পালিত হবে শনি প্রদোষ ব্রতও।
মহাশিবরাত্রির সর্বার্থসিদ্ধি যোগ শুরু হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিটে। শেষ হবে ১৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৭টা ১ মিনিটে৷ মহাশিবরাত্রির ত্রয়োদশী তিথি হবে সন্ধ্যা ৭টা ৫১ মিনিট থেকে ৮টা ১ মিনিট পর্যন্ত। এর অর্থ ১০ মিনিট শুভ হতে চলেছে। এই বিরল এবং শুভ কাকতালীয় যোগের কারণ শনির দোষ থেকে মুক্তি মেলা সম্ভব।
১। চাকরির জন্য- শিবরাত্রির দিন শিবকে জল দিয়ে অভিষেক করুন। সেই সময় মনে মনে ওঁ নমঃ শিবায় বলতে থাকুন। চাকরি পেতে শিবের কাছে প্রার্থনা করুন। সন্ধ্যায় শিব মন্দিরে ১১টি ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান।
২। শিক্ষা এবং একাগ্রতার জন্য- শিবরাত্রির দিন শিবকে দুধের সঙ্গে জল মিশিয়ে নিবেদন করুন। জলে খুব কম পরিমাণে দুধ মিশিয়ে নিন। শিবলিঙ্গে ঢালার সময় ‘শিব-শিব’ বলতে থাকুন। শিব লিঙ্গ স্পর্শ করুন এবং পঞ্চমুখী রুদ্রাক্ষ পরুন।
৩। শনির দোষ কাটাতে-শনির সাড়ে সাতি এবং ঢাইয়ায় যাঁরা রয়েছেন তাঁরা শিবের সঙ্গে হনুমানের পুজোও করুন। মহামৃত্যুঞ্জয় মন্ত্রের জপ করতে পারেন।
৪। ধনপ্রাপ্তির জন্য-দুধ, দই, মধু, চিনি এবং ঘি দিয়ে শিবকে অভিষেক করুন। একের পর এক জিনিস অর্পণ করুন। সব জিনিস একসঙ্গে মেশাবেন না। রুদ্রাভিষেক করতে করতে 'ওম পার্বতীপতয়ে নমঃ' মন্ত্র জপ করুন।
৫। শিশুদের জন্য- শিবলিঙ্গে খাঁটি ঘি নিবেদন করুন। তার পর জল দিয়ে অভিষেক করুন। সন্তান লাভের প্রার্থনা করুন। এটা স্বামী-স্ত্রী মিলে করলে সুফল পাবেন।
৬। সুখী দাম্পত্য- স্বামী ও স্ত্রী একসঙ্গে শিবলিঙ্গে জল নিবেদন করেন। শিব-শিব বলতে থাকুন। এরপর শিবলিঙ্গে গোলাপের পাপড়ি অর্পণ করুন। সুখী দাম্পত্য জীবনের জন্য প্রার্থনা করুন।
আরও পড়ুন- ৪ রাশির কোষ্ঠীতে রাজ যোগ, মাইনে বাড়ার মাসে ব্যবসা-চাকরি তুঙ্গ সাফল্য