Mangal Dosh Upay: কর্মক্ষেত্রে-দাম্পত্যে সমস্যা বাড়ছে? রইল সহজ সমাধান

কখন মঙ্গল দোষ হয়?
জ্যোতিষশাস্ত্র অনুসারে, মঙ্গল যখন কোনও ব্যক্তির রাশির প্রথম, চতুর্থ, সপ্তম, অষ্টম এবং দ্বাদশ ঘরে থাকে, তখন এই জাতীয় ব্যক্তিদের মাঙ্গলিক হিসাবে গণ্য করা হয়। যাদের জন্মছকে মঙ্গল দোষ রয়েছে, এই ধরনের লোকদের সময়মত ব্যবস্থা গ্রহণ করা উচিত, অন্যথায়, তারা সারা জীবন ব্যর্থতার সম্মুখীন হন। সাফল্য অর্জন একটি দূরের স্বপ্ন হয়ে ওঠে।

আরও পড়ুন: আগামী মাসেই কেন্দ্র ত্রিকোণ রাজযোগ, কুবেরের ধন হাতে পাবে ৩ রাশি

মঙ্গল দোষের প্রভাব:
যাদের রাশিতে মঙ্গল দোষ আছে। এধরনের মানুষগুলো বিষণ্ণ স্বভাবের হয়ে ওঠে। তাদের মধ্যে রাগ-অসহিষ্ণুতাও প্রাধান্য পেতে শুরু করে। তারা প্রতিটি বিষয়ে রাগ করতে শুরু করে। এর পাশাপাশি মঙ্গল দোষে আক্রান্ত ব্যক্তিরা অতিরিক্ত যৌনতার শিকার হন। এই কারণেই এই ধরনের মানুষকে অন্য কোনও শুভ গুণ সম্পন্ন ব্যক্তির সঙ্গে বিবাহ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। যাঁদের জন্মছকে মঙ্গল দোষ থাকে, তাঁদের বিবাহ বিলম্বিত হয়। মঙ্গল দোষের ফলে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া লেগেই থাকে। অনেক সময় বিষয়টি বিয়ে ভাঙার দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে যায়। 

মঙ্গল দোষের প্রতিকার:
রাশিতে মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তি পেতে ব্যক্তিকে লাল ফুলের কাপড়, চন্দন, মসুর ডাল, গম, জাফরান, মাটি বা কস্তুরী দান করতে হবে। তাদের প্রতি মঙ্গলবার হনুমান চালিসা পাঠ করা উচিত। মঙ্গল দোষ থেকে মুক্তির জন্য প্রবাল অর্থাৎ মঙ্গল রত্ন ধারন করাও সঠিক বলে বিবেচিত হয়। এই ধরনের ব্যক্তিদের উচিত তাদের বাড়িতে মঙ্গল যন্ত্র স্থাপন করে প্রতিদিন এর পূজা করা। সেই সঙ্গে জলে সামান্য কুমকুম পাউডার বা লাল চন্দন মিশিয়ে স্নান করতে হবে।

বিশেষ দ্রষ্টব্য: এই নিবন্ধে দেওয়া তথ্য জ্যোতিষশাস্ত্রের গণনা, ধর্মীয় বিশ্বাস এবং প্রচলিত রীতির উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে, যা শুধুমাত্র সাধারণ মানুষের কৌতুহলের কথা মাথায় রেখে উপস্থাপন করা হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা জরুরি যে, bangla.aajtak.in কোনও ধরনের অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কারকে সমর্থন করে না বা উল্লেখিত তথ্যগুলি যাচাই করে দেখেনি।