হিন্দু ধর্মে যে কোনও শুভ কাজ করার আগে ভাল সময় বা শুভ মুহূর্ত দেখা হয়। শুভ মুহূর্ত না দেখে বিয়ে, পৈতে বা গৃহপ্রবেশ, কোনও কাজই হয় না। কিন্তু বছরে এমন কিছু তিথি থাকে যে দিনগুলিতে শুভ কাজ করার জন্য মুহূর্ত দেখতে হয় না। আগামী ১২ মে তেমনই একটি দিন। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন এই ১২ মে বিশেষ এবং কীভাবে এই দিনে কেউ মা লক্ষ্মী এবং ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ পেতে পারেন।
১২ মে বিশেষ কেন?
এই বছর ১২ মে পড়ছে মোহিনী একাদশী। এছাড়াও ওই দিন আরও বিশেষ কয়েকটি যোগও তৈরি হচ্ছে। ১২ মে তৈরি হবে শুভ হর্ষন যোগ। এছাড়াও, তিনটি প্রধান গ্রহ তাদের নিজ নিজ রাশিতে থাকবে। ওইদিন চাঁদ তার নিজস্ব রাশিতে থাকবে। এ ছাড়া শনি স্বরাশি কুম্ভ এবং গুরু স্বরাশি মীনে অবস্থান করবে। জ্যোতিষী মতে ওইদিনে যে কোনও শুভ কাজ করা যেতে পারে। যাঁরা উপবাস ও পুজোপাঠ করবেন, তাঁরা মহা পুণ্য লাভ করবেন।
শুভ মুহূর্ত
বৈশাখ মাসের একাদশী তিথি ১১ মে বুধবার সন্ধ্যা ৭টা ৩১ মিনিটে শুরু হবে এবং ১২ মে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা ৫১ মিনিট পর্যন্ত চলবে। এই সময়ে, যে কোনও শুভ মুহূর্তে ভগবান বিষ্ণু বা তাঁর অবতারদের পূজা করা যেতে পারে।
ব্রত এবং পুজো
হিন্দু শাস্ত্র অনুযায়ী, মোহিনী একাদশীতে উপবাস পালনকারী ব্যক্তির নিয়ম মেনে ভগবান বিষ্ণুর পুজো করা উচিত। ব্রত পালনকারী ব্যক্তি রাত্রি জাগরণও করেন। কথিত আছে, এভাবে বছরের পর বছর তপস্যায় পুণ্য লাভ করা যায়। ব্রত পালনকারীকে সাত্ত্বিক খাবার খেতে হবে। একাদশীর দিন সূর্যোদয়ের সময় স্নান সেরে উপবাসের ষোড়শপচারে ভগবান বিষ্ণুর পূজা করতে হবে। তারপর, ভগবান বিষ্ণুর সামনে বসে ভগবতকথাও পাঠ করা উচিত।
ধনপ্রাপ্তির নিয়ম
এই দিন তুলসীর সামনে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। পিপুল গাছে জল দিন। মন্দিরে গিয়ে শ্রীহরিকে হলুদ ফল, বস্ত্র, ফল, ফুল নিবেদন করুন। এরপর, ক্ষীরে তুলসী পাতা দিয়ে দেবী লক্ষ্মীকে অর্পণ করুন এবং গঙ্গাজল ও জাফরান দুধ দিয়ে ভগবান বিষ্ণুর অভিষেক করুন।