জ্যোতিষশাস্ত্রের মতোই সংখ্যাতত্ত্ব। জ্যোতিষে রাশির উপর নির্ভর করে ব্যক্তির প্রকৃতি, ভবিষ্যৎ সম্পর্কে বলা যায়। তেমনই সংখ্যাতত্ত্বে মূলাঙ্কের ভিত্তিতে জানা যায় ব্যক্তির স্বভাব-প্রকৃতি। জ্যোতিষে ১২টি রাশি। সংখ্যাতত্ত্ব বা নিউমোরলজি-তে ১ থেকে ৯ পর্যন্ত থাকে মূলাঙ্ক। প্রতিটি মূলাঙ্ক নির্ভর করে জন্ম তারিখ ও ব্যক্তির নামের উপর। কারও জন্ম ১৫ তারিখ হলে মূলাঙ্ক হয় ১ ও ৫-এর যোগফল ৬। আবার কারও জন্ম ৩০ তারিখ হলে মূলাঙ্ক ৩।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, শ্রী রামের নামের মূলাঙ্ক ৫। এই মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা জন্মদিন হয় মাসের ৫, ১৪ এবং ২৩ তারিখে। এই ধরনের মানুষরা হন স্বাধীনচেতা। মন খোলা হয় তাঁদের। প্রেম ও ভালোবাসায় পোক্ত। তাঁদের মধ্যে শেখার ইচ্ছাও প্রবল। সেই সঙ্গে টানাপোড়েনেও ভোগেন।
বুদ্ধিমত্তা- ৫ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা অত্যন্ত বুদ্ধিমান হন। যে কোনও কাজ সহজে করে ফেলতে পারেন। তাঁদের মধ্যে থাকে বিবিধ গুণ। বেশি দেখনদারি করতে গিয়ে অনেক সময় খরচ করে ফেলেন। যে কারণে ভবিষ্যতে তাঁরা সমস্যায় পড়েন। তবে খুবই চতুর হন। চতুরতার কারণে পরিশ্রম না করেই পান সাফল্য।
আত্মবিশ্বাসী- ৫ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা নিজের কথা ভাবেন। তাঁরা আত্মবিশ্বাসী হন। অনেক সময় অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস তাঁদের সমস্যায় ফেলতে পারে। এই মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা বিবিধ প্রতিভায় সমৃদ্ধ। খুব দ্রুত জিনিস শিখে ফেলেন। স্বভাব বিরোধী কোনও কাজ করেন না। যাঁরা দূর থেকে দেখেন তাঁরা অনেক সময় অহংকারী মনে করতে পারেন, কিন্তু তা নয়। তাঁরা খুবই সরল মনের হলেও আত্মবিশ্বাসী।
আরও পড়ুন- এপ্রিলে পাঁচ বড় গ্রহের স্থান বদল, গোটা মাস দুর্দান্ত কাটবে ৫ রাশির
কেরিয়ার- ৫ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা অলস প্রকৃতির হন। তা সত্ত্বেও এগিয়ে যান কর্মজীবনে। নিজের দক্ষতায় যে কোনও কাজ হাসিল করে নেন। তাঁরা বুদ্ধিমান। বুদ্ধি খাটিয়ে কম পরিশ্রমে বেশি ফল আনতে পারেন। অর্থনৈতিক অবস্থাও শক্তিশালী হত। বুধ গ্রহের প্রভাবে মেধাবী হন। কর্মক্ষেত্রে অনেক উন্নতি করেন। কায়িক পরিশ্রমের পরিবর্তে মস্তিষ্কের কাজে সফল হন। বুদ্ধিমত্তার জোরে সে যে কোনও সমস্যা সহজেই সমাধান করতে পারে। যতটা সম্ভব সবুজ রং ব্যবহার করুন। প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকুন।
ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যা- ৫ মূলাঙ্কের জাতক-জাতিকারা সহজে কাউকে বিশ্বাস করেন না। সেজন্য ব্যক্তিগত জীবনে সমস্যার মুখে পড়তে পারেন। অনেক সময় সঙ্গী বা সঙ্গীনির সঙ্গে ঝগড়াও হতে পারে। মনের মধ্যে টানাপোড়েন চলায় অনেক সময় অবসাদে চলে যান তাঁরা।