Advertisement

Pitri Shraddha & Crow: পূর্বপুরুষের আত্মার শান্তিতে, শ্রাদ্ধে কাককে খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ! কেন জানেন?

Pitri Shraddha & Crow: পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব ও নিয়মকানুন রয়েছে। পিতৃপক্ষের সময়কালে এবং শ্রাদ্ধ শান্তির সময়, হিন্দু ধর্মে কাককে (Crow) খাওয়ানোর রীতি আছে। জানেন এর পিছনে রয়েছে কোন কারণ? 

হিন্দু ধর্মে, শ্রাদ্ধের সময় কাককে খাওয়ানো গুরুত্বপূর্ণ
Aajtak Bangla
  • কলকাতা,
  • 23 Sep 2021,
  • अपडेटेड 8:46 AM IST
  • পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন।
  • পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব ও নিয়মকানুন রয়েছে।
  • শ্রাদ্ধ-শান্তির সময়, হিন্দু ধর্মে কাককে খাওয়ানোর রীতি আছে।

Pitri Shraddha & Crow: পিতৃপক্ষের (Pitru Paksha) অবসান হয়ে সূচনা হয় মাতৃপক্ষের (Matri Paksha)। মহালয়ার (Mahalaya) আগের ১৫ দিন চলে পিতৃপক্ষ। উমার (Goddess Durga) মর্তে আগমনের আগে পিতৃপক্ষের শেষে পিতৃ তর্পণ (Pitri Tarpan) ঘিরে হিন্দু ধর্মে (Hindu Religion) নানা রীতিনীতি রয়েছে। শাস্ত্র মতে কোনও মৃত ব্যক্তির শ্রাদ্ধ- শান্তি (Shraddha) করলে, তাঁর আত্মা (Souls)  প্রশান্তি লাভ করে এবং সেই আত্মা মুক্তি লাভে সক্ষম হয়। 

দক্ষিণ ও পশ্চিম ভারতে গণেশ উৎসবের পরবর্তী ভাদ্র পূর্ণিমা তিথিতে পিতৃপক্ষের সূচনা হয়ে মহালয়ার দিন সমাপ্তি হয়। অন্যদিকে উত্তর ভারত ও নেপালে ভাদ্র মাসের পরিবর্তে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষকে পিতৃপক্ষ বলা হয়। তবে সাধারণভাবে আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষের প্রতিপদে পিতৃপক্ষ শুরু হয় এবং অমাবস্যা তিথি অবধি থাকে। এই বছর পিতৃপক্ষ শুরু হয়েছে ২০ সেপ্টেম্বর থেকে এবং শেষ হবে, ৬ অক্টোবর মহালয়ার দিন। 

আরও পড়ুন: আর হাতে গোনা দিন বাকি! জানুন মহালয়ার দিনক্ষণ, গুরুত্ব

বিশ্বাস করা হয় যে পিতৃপক্ষে শ্রাদ্ধ শান্তি ও তর্পণ করলে পূর্ব পুরুষেরা খুশি হন এবং আশীর্বাদ করেন। তাঁদের কৃপায় জীবনের অনেক বাধা দূর হয়। জীবনের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা থেকেও মুক্তি মেলে। পিতৃপক্ষের নিয়মকানুন পালন করলে পিতৃদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। পিতৃপক্ষের শ্রাদ্ধ ও তর্পণের বিশেষ গুরুত্ব ও নিয়মকানুন রয়েছে। পিতৃপক্ষের সময়কালে এবং শ্রাদ্ধ-শান্তির সময়, হিন্দু ধর্মে কাককে (Crow) খাওয়ানোর রীতি আছে। জানেন এর পিছনে রয়েছে কোন কারণ? 

 

আরও পড়ুন: দেবী দুর্গার হাতে থাকে দশ অস্ত্র! জানেন কী এর তাৎপর্য?

Advertisement

পিতৃলোক কী? 

পুরাণ অনুযায়ী, কোনও জীবিত ব্যক্তির তিন পুরুষ পর্যন্ত পিতৃলোকে বসবাস করেন। এই লোক আসলে, স্বর্গ ও মর্ত্যের মাঝামাঝি স্থানে অবস্থিত। মৃত্যু দেবতা যমরাজই পিতৃলোকের শাসক।

 পিতৃলোক থেকে স্বর্গে গমন 

সদ্য মৃত ব্যক্তির আত্মাকে মর্ত্য থেকে পিতৃলোকে নিয়ে যান যমরাজ। আবার পরবর্তী প্রজন্মের কারও মৃত্যু হলে, আগের প্রজন্মের একজনের স্বর্গে গমন হয় এই পিতৃলোক থেকে। স্বর্গে গমনের পর সেই আত্মা, পরমাত্মায় লীন হন।  

আরও পড়ুন: ষষ্ঠী থেকে দশমী, জানুন দুর্গা পুজোর দিনক্ষণ, গুরুত্ব ও নিয়মকানুন!

 
শ্রাদ্ধ- শান্তির সময় কাককে খাওয়ানোর রীতি

পিতৃপক্ষে কাককে খাওয়ানোর তাৎপর্য রয়েছে হিন্দু ধর্মে। আসলে মনে করা হয় কাক, যমরাজের প্রতীক। এজন্যে শ্রাদ্ধের আগে অশৌচ চলাকালীন হবিষ্যি খাওয়ার আগে কাককে খাওয়ার উৎসর্গ করে নিমন্ত্রণ করে খাওয়াতে হয়। সেই খাবারে কাক মুখ না দিলে, সেটি হবিষ্যি করা যায় না। বিশ্বাস করা হয় যে, কাক যদি সেই খাবার গ্রহণ করে, তাহলে পূর্ব পুরুষেরা সন্তুষ্ট হন। 

 

Read more!
Advertisement

RECOMMENDED

Advertisement