Surya Grahan 2025: সম্প্রতি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ হয়েছে। এখন বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ হতে চলেছে। এই গ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর রাতে হবে। সেদিন আবার মহালয়া। পিতৃপক্ষের শেষ এবং নবরাত্রির শুরুতে ঘটতে চলেছে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। এখন প্রশ্ন উঠছে যে খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণের দিন শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করা যাবে? এই বিষয়ে শাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
২০২৫ সালে সূর্যগ্রহণ কখন ঘটবে
২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া। সে দিনই ঘটবে বছরের শেষ খণ্ডগ্রাস সূর্যগ্রহণ। দেবীপক্ষের সূচনাকালে ঘটতে চলেছে এই মহাজাগতিক ঘটনা। যদিও এই ঘটনা কেবল মাহাজাগতিকই নয়, শাস্ত্রমতে দেশ, রাজনীতি, মানুষের ব্যক্তিগত জীবনের উপরও গ্রহণের প্রভাব পড়ে। বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ ২১ সেপ্টেম্বর রাত ১০:৫৯ মিনিটে শুরু হবে এবং ২২ সেপ্টেম্বর ভোর ৩:২৩ মিনিটে শেষ হবে। আশ্বিন কৃষ্ণপক্ষের অমাবস্যা তিথিতে কন্যা রাশি এবং উত্তর ফাল্গুনী নক্ষত্রে এই গ্রহণ ঘটবে।
কোথায় দেখা যাবে সূর্যগ্রহণ
বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ নিউজিল্যান্ড, ফিজি, অ্যান্টার্কটিকা এবং দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দৃশ্যমান হবে।
ভারতে সূর্যগ্রহণ দৃশ্যমান হবে?
২০২৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের শেষ সূর্যগ্রহণ ভারতে দেখা যাবে না, তাই এর সূতকও এখানে বৈধ হবে না।
সূর্যগ্রহণের সূতক পালিত হবে?
সূর্যগ্রহণের সূতক কাল গ্রহণের ঠিক ১২ ঘন্টা আগে শুরু হয়। ২০২৫ সালের ২১ সেপ্টেম্বরের সূতক কাল ভারতে দৃশ্যমান নয়, তাই এর সূতক কাল বৈধ হবে না। তবে যে অঞ্চলে এটি দৃশ্যমান হবে, সেখানে সূতক কাল বৈধ হবে।
তর্পণ নিবেদন করা যাবে?
২১ তারিখ সর্বপিতৃ অমাবস্যায় ঘটা সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান হবে না, তাই এই গ্রহণের সূতক সময়কাল বৈধ হবে না। এমন পরিস্থিতিতে আপনি এই দিনে তর্পণ ও শ্রাদ্ধ অনুষ্ঠান করতে পারেন। এই নিয়ে জ্যোতিষী পন্ডিত ডক্টর অরুনেশ কুমার শর্মা bangla.aajtak.in-কে জানিয়েছেন, সূর্যগ্রহণের প্রত্যক্ষ প্রভাব ভারতে পড়বে না। ফলে মহালয়ার দিন শ্রাদ্ধ ও তর্পণ করার ক্ষেত্রে কোন বাধা ও সমস্যা নেই। পঞ্জিকা অনুযায়ী ওইদিন ভোর ৩ টে ৫৩ মিনিট থেকে অমাবস্যা যোগ। তখন থেকেই ভারতের বিভিন্ন ঘাটে ঘাটে পিতৃপুরুষের উদ্দেশ্যে জল ও পিণ্ড নিবেদন করে তাঁদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করা যাবে।
সূর্যগ্রহণ ভারতে দৃশ্যমান নয়, ফলে এর প্রত্যক্ষ প্রভাব কোনও ধর্মীয় বা শাস্ত্রীয় কাজে পড়বে না। ২০২৪ সালেও ২ অক্টোবর সর্বপিতৃ অমাবস্যায় একই ঘটনা ঘটেছিল। তবে পিতৃপক্ষে বৃক্ষ রোপণ করলে পিতৃ দোষ প্রতিরোধে সাহায্য করে। পৌরাণিক বিশ্বাস অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু এবং অন্যান্য দেবতারা অশ্বত্থ, বেল, তুলসী প্রভৃতি উদ্ভিদে বাস করেন। বিশ্বাস করা হয় যে সর্বপিতৃ অমাবস্যায় তর্পণ নিবেদন ছাড়াও, আপনি যদি এই গাছগুলি নদীর তীরে, মন্দিরে বা কোনও তীর্থস্থানে লাগান, তাহলে পূর্বপুরুষরা খুশি হন এবং আপনাকে আশীর্বাদ করেন।